শিক্ষা চ্যানেল করার চিন্তা সরকারের

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২১, ১৭:০০

যাযাদি ডেস্ক

 

 

চলমান করোনা পরিস্থিতির আলোকে সারা বছর শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে একটি স্বতন্ত্র টেলিভিশন চ্যানেল চালুর চিন্তা করছে সরকার।

 

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

 

তিনি বলেন, ‘সারা বছরই যাতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল ক্লাসে অংশ নিতে পারে, তার জন্য একটি ডেডিকেটেড চ্যানেল চালুর বিষয়টি বিবেচনাধীন।’

 

জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁ-২ আসনের এমপি শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

 

২০২০ সালে দেশে করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও আর শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু করা যায়নি।

 

সংসদ টিভি ও অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা চলেছে। কিন্তু সে সুবিধা সবাই নিতে পারছে না।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে পরীক্ষাও নেয়া হচ্ছে।’

 

টিকা দেয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠ দেয়া শুরু হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

 

‘এই টিকা কর্মসূচি আবাসিক শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর হলগুলো খুলে দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি ক্লাস শুরু হবে।’

 

মন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী ‘পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ তৈরি এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি ‘গাইডলাইন’ করে দেয়া হবে।’’

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য এবং শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।’

 

‘২০ হাজার ৪৯৯টি স্কুলের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টি এবং চার হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে ৭০০টি কলেজ অনলাইন ক্লাস চালু করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস নেয়া হচ্ছে।’

 

সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ফেরদৌসী ইসলামের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। যেসব জেলায় একটিও বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেখানে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।’

 

সরকারি দলের শহীদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। নীতিমালার আলোকে যোগ্যতার ভিত্তিতে এমপিওহীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হয়ে থাকে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয়, তাদের এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

 

যাযাদি/এসআই