শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার ক্ষতি কতটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে

এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের সম্মুখে নতুন প্রজন্মের সুকুমার বৃত্তি, মেধা ও প্রতিভার উন্মেষ এবং বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থা কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে, দেড় বছরের ক্ষতি পুষিয়ে শিক্ষার্থীদের এই সময়ের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে পারবে সেই প্রশ্ন গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে আমি মনে করি।
মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
  ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ৩০ জুন ২০২১, ১২:০০

৩০ জুন পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার আগামী কয়েক দিনব্যাপী যদি আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি না পায় তাহলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সরকারের দুই শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ কবে নাগাদ এবং কী প্রক্রিয়ায় চালু করা যাবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কিন্তু সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি যদি বেড়ে যায় তাহলে ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে আর কোনো উপায় থাকবে না। সে কারণে আগামী ২৯ মে তারিখ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে। এমনিতেই ২০২০ সালের মার্চ মাসের ১৭ তারিখ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে আমাদের দেশে অন্যসব খাতই কমবেশি সচল ছিল। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থা বলতে গেলে অনেকটাই বন্ধ রাখা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসা অবশ্য এক বছরেরও বেশি সময়ে সরকারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে খোলা রেখেছিল। সম্প্রতি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর সরকারের কঠিন নির্দেশনার কারণে কওমি মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পাঠদান ও পরীক্ষা নিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বছর ব্যাহত হতে দেয়নি। তবে তাদের অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার মান নিয়ে শিক্ষার্থীরা কতটা সন্তুষ্ট- সে সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানভেদে অভিযোগ ও সন্দেহ রয়েছে। বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিক্ষার সেশন চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের অর্থ উপার্জনের ধারাটি বহাল রাখতে পেরেছিল। সেটি তাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যও ছিল। তবে অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে পাঠদান কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার ন্যূনতম সক্ষমতা না রাখায় এই দৌড়ে সেগুলো খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। অন্যদিকে সরকারি এবং আধাসরকারি (এমপিওভুুক্ত) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে পাঠদান কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ফলে তাদের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে। বিশেষত গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বড় অংশই লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে অটো পাস নিয়ে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীরা জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত নতুন শ্রেণির নতুন বই হাতে পেলেও পড়ালেখার সুযোগ পায়নি। তবে কিছু কিছু বিষয়ে সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে জানা যাচ্ছে। শহরের শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ প্রাইভেট পড়ছে, আবার সংসদ টিভিতে প্রচারিত পাঠগুলো অনুসরণ করছে। বোঝাই যাচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার হালচাল খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। একদিকে সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা অনলাইনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী বলতে গেলে লেখাপড়া থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। দেড় বছর ধরে দেশে কোটি কোটি শিক্ষার্থী করোনার কারণে লেখাপড়ার চর্চা থেকে দূরে থাকার ফলে তারা শিক্ষাজীবন গঠনে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। শিশু-কিশোর ও তরুণদের শিক্ষাজীবনের এই ক্ষতি আমরা কীভাবে পূরণ করব সেটি মস্ত বড় সমস্যা হয়ে আগামীতে দেখা দেবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। উন্নত দেশগুলো তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রযুক্তির সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রায় পুরোপুরি সচল রেখেছিল। কিন্তু আমরা প্রযুক্তির নানা ধরনের ব্যবহার-অপব্যবহার করতে দেখলেও শিক্ষা খাতে এই সময়ে নানা বাহানা, অভাব, অভিযোগ ইত্যাদি তুলে লেখাপড়াকে অনেকটাই শিকেয় তুলে রেখেছি। আমাদের নিজেদের মধ্যেও লেখাপড়ার আগ্রহটা খুবই কম এবং প্রতিষ্ঠাননির্ভর। অন্যদিকে আবার আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে খুব একটা দক্ষ যেমন নয়, আগ্রহের দিক থেকেও তেমন একটা সক্রিয় হতে দেখা যায় না। বিশেষত যারা সরকারি কোষাগার থেকে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন তাদের মধ্যে এ নিয়ে তেমন কোনো হা-হুতাশ নেই। আবার যেসব প্রতিষ্ঠান ছাত্র বেতননির্ভর সেগুলোর মধ্যে একটি অংশ নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার চেষ্টা করছে। বাকি অংশ এখনো সচল আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে, ঝরে গেছে বা বন্ধ হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার এই দুর্যোগকালে আমাদের জাতীয় জীবনের সব খাত ও প্রতিষ্ঠান নানা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেও টিকে থাকার জন্য নিরন্তর চেষ্টা ও লড়াই করতে দেখা গেছে। বিশেষত ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, পণ্যসামগ্রী তৈরি ও উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও অপ্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেসব ব্যক্তি নানা আয়-উপার্জনের সঙ্গে যুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন তাদের বড় অংশ এখনো করোনার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। অনেকেই পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন, কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গোটা বিশ্বের সর্বত্র এমন জীবন জীবিকার লড়াই এখন স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে লকডাউন আরোপিত হওয়ায় পরিস্থিতি এদের জন্য জটিল হয়েছে। তারপরও জীবন জীবিকার লড়াই সব প্রতিষ্ঠান ও পেশাতে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। এই ব্যবস্থা থেকে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আপনা আপনি ছুটে গেছে, টিকে থাকতে পারেনি, বাকি অংশ জোড়াতালি দিয়ে চলার চেষ্টা করছে। কিন্তু সরকারি ও আধা সরকারি অংশ অনেকটাই ভাবলেশহীনভাবে আছে। দেশে তাদের কোনো হা-হুতাশ, কর্মতৎপরতা, উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কোটি কোটি শিক্ষার্থী কী করছে, তাদের লেখাপড়ার খবর কী, জীবনযাপনের উপায় কী, বর্তমানে তারা কী করছে, আগামী দিনের শিক্ষার চ্যালেঞ্জ তারা কীভাবে অতিক্রম করবে, এ নিয়ে তাদের অভিভাবকদের উদ্বেগ, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্ম তৎপরতা আছে কী নেই তাও খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। গত দেড় বছর যদি শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিতেন তাহলে অনলাইনে পাঠদান, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ইত্যাদিতে তারা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হতেন। অথচ কয়েক লাখ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন। নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদানে উপযুক্ত করার উদ্যোগ তাদের কতখানি আছে সেটিও খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান, চিন্তা, গবেষণা ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন স্বাভাবিক নিয়ম। তবে এই স্বাভাবিক নিয়ম তখনই কার্যকর এবং ফলদায়ক হয় যখন শিক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞান মানসম্মতভাবে চর্চায় থাকে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জ্ঞানের চর্চায় নিবেদিত থাকে সেই মানে শিক্ষা ও গবেষণা শিক্ষা ব্যবস্থায় বিরাজমান থাকলে উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও প্রসারতা বৃদ্ধি পেতে বাধ্য। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সেটি নেই এমনটি আর নতুন করে বলার প্রয়োজন আছে কী? যদি থাকত তাহলে হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার কারণে তালাবদ্ধ থাকলেও শিক্ষাক্রম প্রযুক্তি এবং নতুন নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবনের মাধ্যমে চালিয়ে নেওয়া মোটেও অসম্ভব কোনো বিষয় হয়ে থাকত না। আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাকিয়ে আছে আমাদের মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের নির্দেশনার দিকে। আমাদের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও পারেনি স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, গবেষণা, যোগাযোগ ইত্যাদি বজায় রাখতে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করার নেই। করোনা পরিস্থিতি যদি আগামী মাসের দিকে নিম্নগামী হয় তাহলে হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তালামুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির জন্য আমাদের কোনো মানসিক প্রস্তুতি আছে কী? দেশে যদি গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের উদাহরণ সামনের দিনগুলোতে না পাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ ততটা নেই, গত দেড় বছরেও তেমন একটি ঘটেনি, সেসব শহর-উপশহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি সামগ্রিকভাবে বিষয়গুলোকে আলোচনা-পর্যালোচনা করে সরকারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না খোলা বা অঞ্চলভিত্তিকভাবে খোলার পরামর্শ দিতে পারে। আমরা ২০২০ সালে শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কী করতে পারতাম না, করলে কতটুকু সমস্যা হতো কী হতো না তেমন একটি গভীর পর্যালোচনা এই মুহূর্তে বসে করা যায়। সেটি করা হলে আগামী জুন পরবর্তী সময়ে দেশের গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে আমরা বিজ্ঞানসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়তো সক্ষম হব। আমাদের কাছে কখনো কখনো মনে হয় গোটা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একসঙ্গে বন্ধ রাখার যেই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছিল তা পুরোপুরি সঠিক হয়নি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখার কারণে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের শিক্ষাক্রম চালিয়ে গেছে। কওমি মাদ্রাসা সরকারি নির্দেশ মানেনি। আমরা গ্রামাঞ্চলে বিশেষ অবস্থান থেকে বিবেচনায় রেখে হয়তো সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছু নিয়ম কানুনের মাধ্যমে খোলা রাখতে পারতাম তাতে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া থেকে এতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ত না। এখন মনে হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতাগুলোকে সামনে এনে আগামী দিনের শিক্ষাসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। সামনে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে কী হবে সেটিও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। তবে শ্রেণিপাঠ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে যে জড়তা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভর করেছে তা কাটিয়ে ওঠা মোটেও সহজ হবে না। আমাদের শিক্ষার সংস্কৃতিতে বই পাঠের অভ্যাস এখন তলানিতে ঠেকেছে। পাঠ্যবই পড়ার বাধ্যবাধকতা শুধু পরীক্ষায় অধিক নম্বর পাওয়ার অভিপ্রায় থেকে হচ্ছে। সেটিও শ্রেণিপাঠের চেয়ে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর টেবিলেই অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের সম্মুখে নতুন প্রজন্মের সুকুমার বৃত্তি, মেধা ও প্রতিভার উন্মেষ এবং বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্র হিসেবে শিক্ষাব্যবস্থা কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারবে, দেড় বছরের ক্ষতি পুষিয়ে শিক্ষার্থীদের এই সময়ের জন্য উপযুক্ত করে তুলতে পারবে সেই প্রশ্ন গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে আমি মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে