শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফকির আলমগীরের অবদান আগামী প্রজন্মকে জানানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ২৪ জুলাই ২০২১, ১৮:০৯

একুশে পদকপ্রাপ্ত কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব আরও বহুজনের সঙ্গে বাংলাদেশের এক কীর্তিমান শিল্পীর মৃত্যু ঘটল। তার এই মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’

শনিবার এক শোকবার্তায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ফকির আলমগীরের নিবেদিত প্রাণ গান এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান আগামী প্রজন্মকে জানানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। ফকির আলমগীর গণসংগীত পরিবেশন ও দেশাত্মবোধক সংগীতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। তার গান বঞ্চিত, শোষিত ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে যেমন মুক্তির আস্বাদনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনি তার কণ্ঠে বাংলা ও বাঙালির নিত্যকার হাসি-কান্না, হর্ষ-বিষাদ ও রাগ-অনুরাগের প্রাণবন্ত উপস্থিতি প্রকাশ পেয়েছে। তার সৃষ্টিশীল সব গানের মাঝে এবং এদেশে গণসংগীতের বিকাশ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তিনি আমাদের মাঝে চির অম্লান হয়ে থাকবেন।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সব আন্দোলনে ফকির আলমগীর তার গানের মাধ্যমে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। তিনি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দসৈনিক হিসেবে এবং স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ৯০-এর সামরিক শাসনবিরোধী গণআন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার এই অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে গভীর শ্রদ্ধায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার এই প্রস্থানে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি।’

শোকবার্তায় উপাচার্য কিংবদন্তি এই গণসংগীত শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে