শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

​১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় চালুর খবরে মাদারীপুর জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:২২

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় চালুর খবরে মাদারীপুর জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি। তবে বন্যার কারণে পাঠদানে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পাঁচ উপজেলায় অন্তত ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এতে আগামীতে শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে। জেলায় পাঁচ উপজেলায় ৭২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৪০টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে, মাঠে ও যাতায়াতের রাস্তায় পানি উঠেছে। মাদারীপুর সদর উপজেলায় ২০৪টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি, শিবচর উপজেলায় ১৮০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি, রাজৈর উপজেলায় ১৩৯টির মধ্যে ৬টি এবং কালকিনি ও ডাসার উপজেলায় ১৯৯টির মধ্যে ৩টি বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে সবচে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা শিবচর উপজেলায়। পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদী তীরবর্তী হওয়ায় ঝুঁকিটা বেশি।

এব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন জানান, ‘আমরা অনেকগুলো বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এরমধ্যে ৫টি বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে আপাতত পাঠদানে কোনো সমস্যা হবে না। করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ গঠনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় চর ও নিম্মামাঞ্চল বেশি। যে কারণে ২৬টি বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। আরো কিছু বিদ্যালয় ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি বাড়তে থাকলে আরো অন্তত ২০টি বিদ্যালয় পানিতে প্লাবিত হবে। আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে সন্নাসীরচর ইউনিয়নের খাসচর বাচামারা আজাদ বিদ্যালয়টি ভাঙনের মুখে রয়েছে।'

এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান, 'জেলার যেসব বিদ্যালয় পানি উঠতে পারে, তার একটি তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত বেশ কিছু বিদ্যালয়ের মাঠে পানি উঠেছে। কিছু বিদ্যালয়ের চলাচলের রাস্তায় পানি উঠেছে তবে বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে সেভাবে পানি উঠেনি। যদি পানি উঠে, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।'

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে