গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ-ইউনিটের স্নাতক (সম্মান) ১ম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টা হতে ১টা পর্যন্ত GST (General, Science & Technology) গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও ছিল নানা ভোগান্তি। এ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ২৬টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১, ৩১, ৯০১ (এক লাখ একত্রিশ হাজার নয়শত এক) জন, তন্মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১০, ৯১৫ (দশ হাজার নয়শত পনেরো) জন পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন এঝঞ গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটি ২০২০-২০২১-এর যুগ্ম আহ্বায়ক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এ সময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, রেজিস্ট্রার, পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ), প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা কর্মদিবসে অনুষ্ঠিত হওয়ায় পড়তে হয়েছে তীব্র যানজটে। রাজধানীর দনিয়া কলেজ থেকে আসা পরীক্ষার্থী তানিশা অভিযোগ করে বলেন, কার্যদিবসে পরীক্ষা নেওয়ায় আমাদের অনেক অসুবিধা হয়েছে৷ এত যানজট সহ্য করে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা থাকে না।
নরসিংদী থেকে আসা পরীক্ষার্থী ইকরামুল ইসলাম জাহিদ বলেন, এই এলাকায় এত জ্যাম। বাস থেকে নেমে অনেক দূর হেঁটে এসেছি। আমি আমার আত্মীয়ের বাসা থেকে দুই ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও জ্যামের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে পারিনি। গাদাগাদি করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে।
নোয়াখালী থেকে আসা এক শিক্ষার্থীর পিতা হাবিবুর রহমান বলেন, 'গুচ্ছ পদ্ধতি অনুযায়ী আমার মেয়ের কেন্দ্র নোয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেক্ট করেছি। কিন্ত কেন্দ্র পড়েছে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ ভোরে ঢাকা এসেছি আবার এখন চলে যাব। এতে আমাদের ভোগান্তি থেকেই গেল।’
জানা যায়, আজ পরীক্ষা কেন্দ্রে বেলা ১০:৩০ থেকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। পরীক্ষার্থীদের হল খুঁজে দিতে সহায়তা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রেঞ্জার ইউনিট, রোভার স্কাউট ও প্রক্টোরিয়াল টিমের সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, 'আমরা হল পরিদর্শন করেছি। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, 'আমাদের কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিল। আগামী পরীক্ষাগুলোতে সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ যানজটের কারণে পরীক্ষা শুরুর নির্দিষ্ট সময় শেষেও কোনো শিক্ষার্থী দেরিতে পরীক্ষা দিতে আসে তাহলে মানবিক দিক বিবেচনায় তার পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যদের কেন্দ্র ভুল হয়েছে তারা যদি আমাদের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসে তাহলে আমরা তাদের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করব।
যাযাদি/ এস
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd