শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

​জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৩৩

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বিকাল ৪টায় কেক কেটে, শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিন বিকালে বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট হলরুমে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এম.পি, বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. জাহিদ আহসান রাসেল এম.পি. অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল বলেন, ‘জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে এই বিশ^বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। আমরা আশা করবো এই বিশ^বিদ্যালয় সারা দেশের কলেজগুলোর শুধু অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে না, পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক রিফর্মের দায়িত্বও পালন করার সুযোগ থাকা দরকার।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বিশে^র সবচেয়ে বৃহৎ বিশ^বিদ্যালয় আমাদের জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে এই বিশ^বিদ্যালয়ের যে বৃহৎ সংখ্যক গ্রাজুয়েট রয়েছেন তাদের বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি, যাতে শিক্ষার্থীরা উদ্যোক্তা এবং কর্মমুখি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।

শিক্ষার্থীদের মানবিক ও নৈতিক গুণাবলীর সমন্বয়ে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই সফট স্কিলস অর্জন করতে হবে। প্রবেলেম সলভিং মেথড জানতে হবে। পৃথিবী পরিবর্তনশীল, আধুনিক শিক্ষা তাদের গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তাদের দেশপ্রেমিক নাগরিক হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেক স্বল্প আয়ের মানুষের সন্তানরাও এই বিশ^বিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছেন। এই সুযোগ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় উন্মুক্ত না করলে আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতো।’

স্বাগত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় সারাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল, হাওর-বাঁওড় এর গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইনক্লুসিভ এবং হোলিস্টিক অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে আগামী দিনে আমরা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়কে শিক্ষার শ্রেষ্ঠ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।

আলোচনা সভা শেষে বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, ফাতেম তুজ জোহরা, কিরণ চন্দ্র রায়সহ জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সঙ্গীত কলেজ, সুরের ধারা কলেজ-এর শিল্পীবৃন্দ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গান পরিবেশন করেন।

একইদিন বিকাল ৩টায় অনার্স ১ম বর্ষের গাজীপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি.।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে