​রহস্যজনক কারণে তুলে নেওয়া হলো জাবি কর্মচারীর বহিষ্কারাদেশ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৩৮

জাবি প্রতিনিধি

 

দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় জুয়া খেলার অপরাধে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা বারোটার দিকে কর্মচারী ক্লাবের পিছন থেকে হাতেনাতে আটক করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিসের সিনিয়র প্লাম্বার মিস্ত্রী মোঃ আবুল কালামকে।

 

অপরাধের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

 

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘কর্মচারী ক্লাবের পিছনে অফিস চলাকালীন সময় জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১০। ক.(২) ধারা অনুযায়ী জনাব মোঃ আবুল কালাম-২ কে এই বিশ^বিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে ১৬-০৯-২০২১ তারিখ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’

 

তবে যেসব অফিসে অফিস আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছিল রহস্যজনক কারণে সেখান থেকে এক ঘন্টা পরেই অফিস আদেশ ফেরৎ নেয়া হয়েছে। কিন্তু এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর একই অভিযোগের ভিত্তিতে তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভিন্ন আচরণকে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

এ বিষয়ে প্রকৌশল অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ঘটনার ঐদিন আবুল কালামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পানি ট্যাংকি মেরামত করার জন্য পাঠানো হয়। তিনি সেখানে না গিয়ে ডিউটিরত অবস্থায় জুয়া খেলতে গিয়ে আটক হয়।

 

তবে জুয়া খেলার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, আমার এক বন্ধুর কাছে টাকা আনতে আমি সেখানে যাই। আবদুস সালাম শরীফ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

 

তবে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, তারা জুয়া খেলছিলো কি না জানি না। কিন্তু তারা সেখানে তাস খেলছিলো। এজন্য আমরা কোন লিখিত অভিযোগ দেইনি।

 

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে মোবাইল ফোনে কিছু বলা সম্ভব নয়। প্রয়োজন হলে অফিসে এসে দেখা করা যাবে।

 

অফিসে গিয়ে দেখা করলে তিনি জানান, বহিষ্কারের অনুলিপি প্রেরণের পর আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছিল। সে কারণে অনুলিপি ফেরত নেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি বর্তমান তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

 

যাযাদি/ এস