শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে দুপুর ১২টার আগে হল ত্যাগের নির্দেশ ও ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা । শিক্ষার্থীরা হলেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিটি হলের প্রভোস্টের অফিসের মধ্যে তালা ঝুলানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সাথে রাষ্ট্রপতি বরাবর ভিসিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার একটি চিঠি লিখবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৮ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একত্র হয়ে পুরো ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল শেষে সকাল ১১ টার দিকে মুক্তমঞ্চে জমায়েত হয়ে এসব কথা বলেন তারা। এরপর সাড়ে ১১ টার দিকে ছাত্রী হলে শিক্ষার্থীরা তালা ঝুলিয়ে দেন।
শিক্ষার্থীদের এখন একটাই দাবি, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের দাবি একটাই, উপাচার্যের পদত্যাগ।
পদত্যাগের দাবিতে তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আন্দোলনে কর্মসূচিতে আমরা প্রতিটি হলের নিয়ন্ত্রনে নিবো। সেই সাথে ক্যাম্পাস আমরা ছেড়ে যাবো না। আমাদের ক্যাম্পাস আমরাই থাকবো। ’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অবস্থান কি জানতে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সাথে মুঠোফোনে অনেকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে সোমবার সকালে জানান তিনি।
কোষাধ্যাক্ষ বলেন, গতকাল রোববার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
যাযাদি/ এমডি