শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে দুই ঘন্টা নীরব দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান৷ এসময় তিনি শাবিপ্রবির উপাচার্যেরও পদত্যাগ দাবি করেন।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) অধ্যাপক ফরিদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জোহা চত্বরে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত নীরব দাঁড়িয়ে থেকে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। অধ্যাপক ফরিদ তার ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে এ প্রতিবাদের কথা জানান।
অধ্যাপক ফরিদ এ বিষয়ে বলেন, শাবি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম পুলিশি হামলার ও ভিসি ফরিদ উদ্দীনের পদত্যাগের দাবিতে এই প্রতিবাদ। একজন শিক্ষক হিসেবে, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি ভীষণ লজ্জিত ও ব্যথিত। একজন শিক্ষকের কারণে আজ আমাদের সন্তানদের জীবন সংকটাপন্ন। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যে দাবি জীবনকে হার মানায় সে দাবি কখনোই অযৌক্তিক হতে পারেনা। শিক্ষার্থীদের জীবনের চেয়ে শিক্ষাঙ্গনে কোনো পদই বড়ো হতে পারেনা। তাই বিবেকের তাড়নায় আবার দাঁড়ালাম।
তিনি আরও বলেন, এই নীরবতার ভাষা লক্ষ শিক্ষকের লক্ষ অভিভাবকের ক্ষোভের ভাষা, বিবেকের ভাষা। একজন অভিভাবক যখন দাঙ্গা পুলিশ ডেকে এনে সন্তানদের শায়েস্তা করেন তখন তিনি আর অভিভাবক থাকেননা হয়ে যান একজন শাসক, নির্মম শাসক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শাসক চাইনা, চাই অভিভাবক।
শাবি ভিসিকে উদ্দেশ্য করে এ রাবি অধ্যাপক বলেন, "অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। শিক্ষক সমাজকে জাতির কাছে কলঙ্কিত করবেননা, ছোট করবেননা। আপনার শিক্ষকতা জীবনের অর্জনকে হেয় হতে দিবেননা। শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে আপনার প্রশংসিত ভূমিকাকে খাটো করবেননা। আবারো বলছি পদত্যাগ করুন। আমাদের সন্তানদের বাঁচান। সন্তানদের কাছে হার মানা কোনো লজ্জার নয় বরং আনন্দের। আমাদের সন্তানেরা আজ প্রতিবাদ করতে শিখেছে।"
অধ্যাপক ফরিদ খান করোনা মহামারীর কারণে এই কর্মসূচিতে অন্যদের অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানান।
যাযাদি/ এস