জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীকে ৬৪ তম একাডেমিক কমিটির সভায় ৩ শিক্ষক তালা মেরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করাসহ প্রাণনাশের অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে আবেদন করেছে বিভাগটির প্রধান ড. আশরাফ।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ২৬ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগ জমা পরে। যার রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অভিযোগ পত্রের বরাত দিয়ে জানা যায় গেলো ১৩ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় বিভাগটির একাডেমিক কমিটির সভার শুরুর পূর্বে বিভাগটির তিন সহকারী অধ্যাপক মোঃ নকিবুল হাসান খান, মোঃ রাকিবুল হাসান ও মোঃ আলিম মিয়া ৩ ঘন্টা ধরে তালাবদ্ধ করে রাখে বিভাগ প্রধান ড. আশরাফকে। এছাড়া তালা লাগানোর আগে বিভিন্ন রকমের হুমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগও তুলে এই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ড. আশরাফ।
ঘটনার দিনের ৪ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ডও জমা হয়েছে লিখিত অভিযোগ পত্রে। যেখানে উপাচার্য নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করতেও শোনা গেছে বিভাগটির শিক্ষক মোঃ নকিবুল হাসান খানকে। এছাড়া জোর করে সভা শুরুর জন্যেও হুমকি দিতেও শোনা যায় রেকর্ডটিতে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে বিভাগ প্রধান ড. আশরাফের কক্ষে তালা লাগিয়ে চলে যান ৩ শিক্ষক। তালা লাগানোর ঘটনার সত্যতা অডিও রেকর্ড এবং বিভাগটির এক কর্মাচারীর বক্তব্য থেকেও সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভাগের সভার গোপন নথিও সভার আগেই কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে চলে যায়।
আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে অভিযোগ জমা দেয়ার বিষয়ে ড. আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, ১৩ জুন একাডেমিক কমিটির সভায় আমার সঙ্গে যে বাজে ব্যবহার করেছে তা বর্নাতীত। রুমে তালা লাগিয়ে এবং বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে আমার উপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে। আমি এর বিচার চেয়েছি। সকল তথ্য প্রমাণ আমি জমা দিয়েছি। বিভাগের স্বার্থে একটি দৃষ্ঠান্ত স্থাপন হওয়া জুরুরী।
বিভাগের দুই শিক্ষকের মন্তব্য জানতে চাইলে মোঃ রাকিবুল হাসান ও মোঃ আলিম মিয়া কোন মন্তব্য করতে চাননি।
অন্যদিকে বিভাগের আরেক শিক্ষক মোঃ নকিবুল হাসান খান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর জানান, অভিযোগ দেখে বিচার বিশ্লেষন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/এস