নাশকতা করতে চাইলে প্রয়োজনে আবার গণঅভ্যুত্থান হবে
প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৯
নাশকতা সৃষ্টি করতে চাইলে প্রয়োজনে তাদের(বিএনপির) বিরুদ্ধে আবার গণঅভ্যুত্থান করবে ছাত্রলীগ। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সমাবেশে এ কথা বলেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
২৪ জানুয়ারি ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে ছাত্রলীগ। প্রসঙ্গত, গতকাল নয়াপল্টনে সমাবেশ করে বিএনপি। মূলত গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর কর্মসূচির দিনে শাহবাগে পাল্টা কর্মসূচি পালন করে আসছে ছাত্রলীগ।
সমাবেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা্র নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
সমাবেশে বক্তব্যে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালে যে গণঅভ্যুত্থান গড়ে উঠেছিলো, তা প্রমাণ করেছিল বাঙ্গালি জাতিকে দাবায় রাখা যাবে না। ১৯৬৯ সালে যে গণতন্ত্র ছিল সেই গণতন্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মির্জা ফখরুলের নাম উল্লেখ করে এসময় ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, তিনি(মির্জা ফখরুল) এমন একটা ভাব ধরেন তার মতো সজ্জন ব্যক্তি আর একটা ও নাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি দূর্নীতির বরপুত্র, হাওয়া ভবনের টেন পার্সেন্ট, বাংলাদেশে যিনি দশ ট্রাক অস্ত্র এনেছেন, যিনি বঙ্গবন্ধুতনায় শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করতে চেয়েছেন সেই কুখ্যাত তারেক জিয়ার একজন সেবাদাস।
এসময় তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ’৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে যে শক্তি নিয়ে আইয়ুব সরকারে পরাজিত করেছিলাম, ’৭১ এ যে শক্তি নিয়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের পরাজিত করেছিলাম, ২০২৩ সালে এসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বাংলার ছাত্রসমাজ এ অশুভ শক্তিকে আবারো পরাজিত করবে।
সমাবেশে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় যখন রাজপথ প্রকম্পিত হয়েছিল ছাত্রজনতার ১১ দফাও ছিল তার পাশে, যার ফলে বঙ্গবন্ধু সহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তারা।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কাউকে ভয় করে না, তোয়াক্কা করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে সারা বিশ্বের মোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করেছে। তরুণ প্রজন্ম যে স্বপ্ন দেখতো বাংলাদেশে মেট্রোরেল চলবে, সেটি এখন বাস্তব, এ স্বপ্ন পূরণ করেছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
সমাবেশে ছাত্রদলকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আজকে দেখছি কিছু লোক যারা ছাত্র নামে কলঙ্ক, ছাত্রদের নিয়ে তাদের কোনো কাজ নেই। শুধুমাত্র বিদেশি এবং লন্ডন থেকে আনা প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ ফেলার রাজনীতি করছে।
ছাত্রলীগকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমাদের মাথা ঠান্ডা করে ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হবে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পাশে থাকবো। তবে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ছাত্র সমাবেশের পাশাপাশি ঢাবি ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক কর্মীরা বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
যাযাদি/ এম