গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে কেন পড়বেন বিবিএ, এমবিএ

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৩, ১৮:২৮

যাযাদি ডেস্ক

বিজনেস অনুষদের পড়ে উদ্যোক্তা যেমন হওয়া যায়, তেমনি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংক, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণনসহ অনেক ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়। মূলত সে লক্ষ্যেই দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের পরিচয় রাখছে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষিত ও বিদেশ থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে ব্যবসায় প্রশাসনের কোর্সগুলো পরিচালনা করে আসছে। 

এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ-এর শিক্ষকেরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সামদানী ফকির স্বয়ং নিজে এই বিভাগে পাঠদান করেন। ডিন হিসেবে রয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ। আছেন পূর্ণকালীন ৩ অধ্যাপকসহ বেশকিছু শিক্ষক।

বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রিন ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নির্বাহীদের জন্য উইকেন্ড এমবিএ (এক্সিকিউটিভ) কোর্স চালু রয়েছে। গ্রিন বিজনেস প্রোগ্রামের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলছেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিবিএ/এমবিএ প্রোগ্রাম মোট পাঁচটি বিষয় তথা মানসম্মত শিক্ষার্থী, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, কোয়ালিটি কোর্স কারিকুলাম, দক্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উন্নত ভৌত অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাচ্ছে। 
কেন পড়বেন এখানে : গ্রিন ইউনিভার্সিটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় এখন দেশের অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। ইউএস-বাংলা গ্রুপের সাথে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গ্রুপের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা অ্যাসেট, ইউএস-বাংলা লেদার, হাইটেক, মিডিয়া, মেডিক্যাল কলেজ এবং ইউএসবি এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ পাবে। 

এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করে না, পাশাপাশি তাদের ক্যারিয়ারের দিক নির্দেশনা প্রদান, ইন্টার্নশিপ ও চাকরি প্রাপ্তির জন্য কাজ করে। এজন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেন্টার ফর ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট (সিসিডি) এর বাইরেও গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফার করে দেশ-বিদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। 
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকমণ্ডলী: গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে চাকরিরত সব শিক্ষক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। শুধু তাই নয়, যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সদা সচেষ্ট গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়। 

এ ক্ষেত্রে ফার্স্টক্লাসধারী লিখিত, প্রেজেন্টশন ও ভাইভা পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নিয়োগদানের পর তাদের (শিক্ষক) শিক্ষাদান দক্ষতা বৃদ্ধিতে সেমিস্টারজুড়ে (চার মাস) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যে ধারা গ্রিন ইউনিভার্সিটি ছাড়া মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান করা প্রবীণ শিক্ষকরাও তুলনামূলক অধিক যোগ্য ও অভিজ্ঞ। প্রশিক্ষণ জগতের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। 

অবকাঠামো ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা পাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এজন্য ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ক্যাম্পাসটিতে যেতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রেখেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

সুযোগ-সুবিধা : অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর টিউশন ফি মওকুফের সুবিধা দিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছে। 

এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি, ছাত্রী এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিশেষ সুবিধায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে। ভর্তির পর পরীক্ষার ফলাফলের ওপর বৃত্তি দেয়া হয়। 

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি হলো জিনিয়াস তৈরির কারখানা। যেখানে পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের কোর্স কারিকুলামের সাথে সামঞ্জস্য অথচ দেশের চাহিদাকে একেবারে বিসর্জন না দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিজনেস স্টাডিজ শিক্ষা দেয়া হয়। 

যোগাযোগ: গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ২২০/ডি বেগম রোকেয়া সরণি, ঢাকা। ফোন: ০১৭৫৭০৭৪৩০২-৪, ০১৭১৩ ২৮৯২১৭; স্থায়ী ক্যাম্পাস: পূর্বাচল আমেরিকান সিটি, কাঞ্চন, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ। 

যাযাদি/ এম