জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী পালন

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২৩, ১৮:২৪

যাযাদি ডেস্ক

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উৎসব। রবিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সরকারি সংগীত কলেজের অডিটোরিয়ামে বাঙালির গর্ব দুজন বিশিষ্ট কবির জন্ম উৎসব পালন করা হয়। নজরুলের ‘দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদার নাথ’ গানটি দিয়ে জয়ন্তী উৎসব শুরু হয়। এই গানের সঙ্গে মনোমুগ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন কলেজের শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

পুরো উৎসব জুড়ে রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা সাহিত্যের দুজন মহান কবিকে স্মরণ করা হয়। বাঙালির হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল যেন চিরঅম্লান হয়ে রয়েছেন-সেটিই সুর আর সংগীতে ফুটে উঠেছে। আলো-আঁধারিতে সুরের মূর্ছনায় সবাই যেন অবগাহন করেছেন দুজন মহীরূহের বিশালতাকে। কলেজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অঙ্গন রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুলের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ফুল দিয়ে আল্পনা আঁকা হয়েছে। জ্বালানো হয়েছে মঙ্গল প্রদীপও। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কণ্ঠেও সেই একই সুর। বলেন, ‘আজকে আর কেনো কথা নয়, নয় কোনো বক্তব্য। আমরা শুনবো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে। গানে গানে তাঁদের স্মরণ করবো।’

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘শুভর প্রতি, সুন্দরের প্রতি, সত্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সার্বজনীন। মানুষ সকল অশুভকে দূর করে শুভর অসীম যাত্রায় নিজেদের অবগাহন করে। আমি মনে করি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ আর বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার অবগাহনে বাঙালির পরমপ্রাপ্তি ও পাওয়া। আমার শুধু মনে হয়, আমরা যা কিছু করি তার গভীরে যাওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মানে তো গভীরে প্রবেশ। বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলকে নিয়ে যতবেশি গভীর চর্চা করা যাবে। আমার মনে হয় বাঙালির জন্য আর কাউকে খোঁজার প্রয়োজন নেই। এই তিনটি মানুষ আমাদেরকে পরিপূর্ণ করে তোলে। আসুন বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের চর্চা অব্যাহত রাখি।’

রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সরকারি সংগীত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কৃষ্টি হেফাজ। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ এবং সরকারি সংগীত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।      


যাযাদি/এসএস