ইবি শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন : সড়ক অবরোধ
প্রকাশ | ০৮ জুন ২০২৩, ১২:৫৯
বিল্ডিং করাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯ টায় প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় রাস্তা অবরোধ করে রাখেন তারা। এতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।
ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ কুষ্টিয়া জেলার চৌরহাঁস শাখার অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার বলে জানা গেছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, অভিযুক্ত সোহেলকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার ও ভুক্তভোগীর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এক দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে, ২০২১ সাল থেকে পরিবারসহ হাউজিং ডি-৪৭০ নং বাসায় ভাড়ায় অবস্থান করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। প্রতিদিনের মতো ভোর ৫:৫০ মিনিটে বাসার পাশে হাউজিং ডি-ব্লক এবং সি-ব্লকের মাঝামাঝি রাস্তায় হাটছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় সি ব্লকের কুষ্টিয়া কৃষি কলেজের সামনে আসা মাত্রই হাউজিং D- ব্লকের ১৬৭ নং প্লটের বাসিন্দা সোহেল মাহমুদ ( প্রিন্সিপাল অফিসার অগ্রণী ব্যাংক, চৌরহাঁস শাখা, কুষ্টিয়া) তাকে দেখা মাত্রই অতর্কিত হামলা চালায় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। সেখান থেকে তিনি কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে তার সহকর্মী অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীকে ফোন করেন। তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে জানায়। তিনি সহকারী প্রক্টর ড. হুমায়ুন শাহেদকে ভুক্তভোগীর কাছে পাঠালে তাঁর সহযোগীতায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে তিনি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, হামলাকারী ব্যক্তি ভুক্তভোগীসহ পাঁচজন শিক্ষকের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর প্রতিবেশী। ইতিপূর্বে ২০২২ সালের ৭ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় ভুক্তভোগী ও অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী উক্ত সন্ত্রাসীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। এছাড়াও ভুক্তভোগীকে ফোনে একাধিকবার এবং অধ্যাপক ড. মহিব্বুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী তার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর (সহকারী প্রক্টর) অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত একজন শিক্ষক যে ব্যাংক কর্মকর্তার দ্বারা হামলার শিকার হয়েছে তার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেছিল। একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।"
যাযাদি/ এস