হাতেকলমে ব্যবহারিক শিক্ষায় হাবিপ্রবিতে আর্টিফিশিয়াল প্রাণি

প্রকাশ | ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৮

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে ব্যবহারিক পাঠদানে আর্টিফিশিয়াল প্রাণির ডামি তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ শে আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল অ্যান্ড এনিমেল সাইন্স অনুষদের মাস্টার্স অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ল্যাবক্লাসে তৈরিকৃত আর্টিফিশিয়াল গরুর মাধ্যমে পাঠদান করেন মেডিসিন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্যাথলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ।

২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ৫-১ সেমিস্টারের ল্যাব ক্লাসে আর্টিফিশিয়ালি প্রস্তুত করে একটি গরুর রেকটাল পালপেট ডায়াগনোসিস করা হয়। রেকটাল পালপেট ডায়াগনোসিস এর মাধ্যমে গরু, মহিষ ও ঘোড়ার ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি টেস্ট, ভ্রূণের বয়স ও জননাঙ্গের রোগ নিরূপণ করা হয়।

এ বিষয়ে মেডিসিন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকলেই হবে না। তাদের ব্যবহারিক বিদ্যায় পারদর্শী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যাচের ৩০ জন শিক্ষার্থী থাকলে সবার জন্য সমানভাবে ব্যবহারিকের ব্যবস্থা করা যায় না। যেমন দুইটি গরুর উপর রেকটাল পালপেট ডায়াগনোসিস করতে গেলে প্রাণিটির প্রতি অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তাই আমরা মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গরুর অর্গান কালেক্ট করে আর্টিফিশিয়ালি একটি গরু তৈরি করে রেকটাল পালপেট ডায়াগনোসিস-এর ব্যবস্থা করি। এর মাধ্যমে ক্লাসের সবাই খুব সহজেই রেকটাল পালপেট ডায়াগনোসিস সম্পর্কে সম্যক ধারণা পায়। আর্টিফিশাল পদ্ধতিতে অর্গান ব্যবহার করে শিক্ষাদানের এই পদ্ধতিকে ফ্যান্টম স্ট্যাডিজ বলে।আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ফ্যান্টম স্ট্যাডিজের মাধ্যমে পাঠদান করা সম্ভবপর হলো।

এছাড়াও ভবিষ্যতে ফ্যান্টম স্ট্যাডিজের মাধ্যমে আর্টিফিশিয়ালি ল্যাব রুমে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিকের ক্লাসগুলো করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা।

মেডিসিন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা এর তত্ত্বাবধানে ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের নাবিল,তৌসিফ ও আকিব নামে তিনজন শিক্ষার্থী আর্টিফিশিয়াল গরুটি তৈরি করেন।

যাযাদি/ এস