যবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৮
জামায়াত নেতা সাঈদীর মৃত্যুতে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম ইকরামুল কবির দ্বীপকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ বহিষ্কারের আগেই স্ক্রিনশট তৈরি করে প্রোপাগোন্ডা ছড়ানোর জন্য যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা দ্বীপ বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল ভোরের পাতার সাংবাদিক উৎপল দাস তার ফেসবুক একাউন্ট থেকে আমার নামে একটি ভুয়া স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যা আমার নজরে আসার সাথে সাথেই আমি উৎপল দাসের সাথে কথা বলি কিন্তু সে আমার কোন সদ উত্তর দিতে পারি নাই, সে শুধু বলেছে তাকে কেউ একজন দিছে যার জন্য আমি আজ যশোর সদর থানায় অভিহিত করি এবং অভিযোগ দায়ের করি। আমার ফেসবুক আইডিতে থাকা সহস্রাধিক ছাত্রলীগ নেতারকর্মীদের কেউ এমন কোনো পোস্টের প্রতক্ষদর্শী নয়, তাহলে সে একাই কিভাবে এই পোস্ট দেখল বা পেল এটি আমার প্রশ্ন রইল।তাছাড়াও স্ক্রিনশটটি আপনারা ভালো করে লক্ষ করলেই দেখতে পাবেন যে এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। তাছাড়াও সাইদি মারা যাওয়ার বিশদিন পর কেন এই পোস্ট ভাইরাল হলো? আমি মনে করি ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী নোতারা যখন সাইদির নামে পোস্ট করাতে বহিষ্কার হয়েছে ঠিক তখনই একটি কুচক্রী মহল আমার নামে ভুয়া আইডি খুলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘৃণিত কাজ করেছে।পাশাপাশি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি / সেক্রেটারি কেন আমাকে কোন কিছু না জানিয়ে, শোকজ না করে বহিষ্কার করছেন আমার সেটা জানা নেই। আমি এর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার চাই।
বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা বলেন, গতকাল রাতে ঢাকার এক সাংবাদিকের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল কবির দীপ যুদ্ধপরাধীর দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর তার পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা কেন্দ্রেীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলি এবং তারা আমাদের ব্যবস্থা নিতে বলেন। তাদের নির্দেশনায় আমরা তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সীদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কে বলেছি, তারা ঘটনার যাচাই বাঁচাই করে স্থায়ী সীদ্ধান্ত নিবেন।
ইকরামুল কবির দ্বীপ কে নিয়ে পোস্ট প্রদানকারী উৎপল দাশের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে কেউ একজন ছবিটি দিয়েছিলো তাই আমি নিজস্ব ফেইসবুকে পোস্ট করেছি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আমাকে অনুরোধ করলে তার অনুরোধের প্রেক্ষিতে পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছি। এবিষয়ে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে কল কেটে দেন।
যাযাদি/ এস