ইবির চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩০

ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় শেষমেশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছে দুই তদন্ত কমিটি। ওই জমাকৃত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আগামী মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ছাত্র শৃঙ্খলা সভায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এই দুইটি বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ।

জানা যায়, গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেদোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুর এবং কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। পরে কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেন প্রশাসনের কাছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই কাব্যসহ তিন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। 

অন্যদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তাহমিন ওসমান নামের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন ওই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পর দিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। 

অভিযুক্তরা হলেন, হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব।

এদিকে গত রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের প্রতিবেদনটি জমা দেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন সাইফুল ইসলাম।

 র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটির এক সদস্য নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, 'আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের  সঙ্গে কথা বলেছি। বিভাগের  অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে এর সত্যতা আমরা পেয়েছি। তদন্তে উঠে এসেছে ভুক্তভোগী বিভিন্নভাবে র‍্যাগিংয়ের স্বীকার হয়েছে। তদন্ত কমিটির সবার স্বাক্ষর সংবলিত ১৬ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এ ঘটনায় আট জনের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে।'

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, 'বিষয়টি তদন্ত সংশ্লিষ্ট। এখন চাইলেও এই বিষয়ে কিছু বলা যাবেনা। মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সবাই জানতে পারবেন।

যাযাদি/ এম