প্রযুক্তি সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক :  উপাচার্য ড. মশিউর রহমান 

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪১

যাযাদি ডেস্ক

প্রযুক্তির সুবিধাও অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ন্যায় ও সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রযুক্তির সুবিধাও সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যেন এই সুবিধা ভোগ করতে পারে সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংস্থা ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ঢাকায় একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে ‘এমপাওয়ার্ড ২০২৩: এআই পাওয়ার স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর এ ফিউচার রেডি ওয়ার্কফোর্স সামিট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য। অনুষ্ঠানে উপাচার্য ‘ওয়ার্কফোর্স প্রিপারেশন ইন দ্যা ইরা অব এআই এন্ড টেকনোলজি’ বিষয়ে কথা বলেন। 


দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। কর্মদক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও চাহিদা পূরণ করে স্কিল গ্যাপ কমাতে হবে। এতে করে চাকরি দাতা এবং গ্রহীতার মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে। চাকরি দাতারা যেমন দক্ষ মানবসম্পদ পাবে। তেমনি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠতে পারবে। সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা প্রযুক্তিসুবিধা থেকে বঞ্চিত। আরেক শ্রেণির মানুষ প্রযুক্তিতে খুবই দক্ষ এবং একইসঙ্গে তারা সমাজে প্রিভেলেইজড অংশ। আমাদের সকলের দায়িত্ব সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শ্রেণিকে মূল স্রোতে নিয়ে আসা। তাদেরকে প্রযুক্তির সুবিধার আওতায় আনার মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।’


কোভিড উত্তর পৃথিবীর নানা সংকটের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম কোভিড উত্তর পৃথিবী মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বিশ্ব যুদ্ধ, সংঘাত দেখবে না। সকলে শান্তির জন্য কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবতায় আমরা দেখেছি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। আমরা দেখেছি ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। কীভাবে শিশু, নারীসহ নিরীহ মানুষদের ওপর হামলা করে হত্যা করছে ইসরাইলি বাহিনী। এই পৃথিবী আমরা চাইনি। উন্নত রাষ্ট্রগুলো এসব যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। আমরা চেয়েছিলাম মানবিক পৃথিবী, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি হবে। একে অপরের পাশে দাঁড়াবে। শান্তিময় হবে পুরো বিশ্ব।’


উপাচার্য ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমাদের লক্ষ্য-বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠন।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওদাওয়ানী ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. ওজেয় কেলা, সংস্থাটির ইভিপি সুনিল দাহিয়া, আশরাফুজ্জামান, টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব প্রমুখ।

যাযাদি/ এস