প্রযুক্তির যুগে বেরোবিতে চিঠি উৎসব

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৫

বেরোবি প্রতিনিধি

তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে চিঠি লেখার মতো সনাতন প্রথা এখন প্রায় বিলুপ্ত। ডাকপিয়নের বাইসাইকেলে চড়ে ক্রিং ক্রিং শব্দে হলুদ খামের চিঠি বিলি করার দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। ই-মেইল, ফ্যাক্স আর টেক্সট মেসেজ যুগে কেউই আর কাউকে চিঠি লেখে না। বলতে গেলে হাতে লেখা, ডাকে পাঠানো চিঠির চলই উঠে গেছে। এই প্রেক্ষাপট মাথায় রেখেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চিঠি উৎসব। 

 বেরোবি শিল্প ও সাহিত্য সংসদের আয়োজনে  গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিজয় সড়কে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 

একই দিনে সরস্বতী পূজা, পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস থাকায় ক্যাম্পাস দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের পদচারণায় উৎসবমুখর ছিল।
 
চিঠি উৎসবে আসা শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা বলেন,চিঠি লেখার শিল্প এক সময় ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। প্রিয়জনের সাথে ভাব বিনিময়, অনুভূতি প্রকাশ, সংবাদ আদান-প্রদান - সবকিছুই হত চিঠির মাধ্যমে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে যদিও চিঠির ব্যবহার কমে এসেছে, তবুও এর গুরুত্ব ও আবেগীয় মূল্য আজও অটুট।

'চিঠি উৎসব' কেবল একটি উৎসব নয়, বরং এটি আমাদের ভাবনার জগতকে সমৃদ্ধ করার একটি সুযোগ। 

শিল্প ও সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম উদ্দিন বলেন,এইটি কোনো ব্যাতিক্রম আয়োজন নয়। চিঠি আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে। চিঠির মাধ্যামে আমাদের অপেক্ষার অবসান ঘটে। পাশাপাশি আগ্রহ তৈরি হয়।  আমরা চেষ্টা করেছি এই আয়োজনের  মাধ্যমে তরুণ প্রজম্মের কাছে কিছুটা হলেও চিঠি লেখার সেই আবেগ, আনন্দ ও উচ্ছ্বাস তুলে ধরতে।

যাযাদি/ এস