চুয়েটে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৬

চুয়েট প্রতিনিধি

২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) যথাযথ মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাদদেশে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

আজ বুধবার মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে দিনের প্রথম প্রহরে সকাল সাড়ে ৭ টায় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায় উত্তর গোল চত্বর হতে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু হয়। এতে কালো ব্যাজ ধারণ করে চুয়েটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। 

এরপর চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এরপর প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জামাল উদ্দীন আহমেদ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। পাশাপাশি শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে চুয়েটের বিভিন্ন হল, শিক্ষক সমিতি ও ক্লাবসহ ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সকাল সাড়ে ৮ টায় একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। এবং অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, একুশ আমাদের শক্তি, আমাদের গৌরবের চেতনা। মাতৃভাষার চেতনাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ইউনেস্কোর মাধ্যমে স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যাদের হাতেই আমাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে নিজেদের মাতৃভাষা ও দেশের প্রতি মমত্ববোধের বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে।
 
তিনি দেশপ্রেমের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়াতে অনুপ্রাণিত করার মাধ্যমে সরকারের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশনকে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশায় চুয়েটের সবাইকে অনুপ্রেরণা দেয়ার মাধ্যমে তার বক্তব্য শেষ করেন।

গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসটি উপলক্ষে ছাত্র কল্যাণ দপ্তরও নানা কর্মসূচির আয়োজন করে । আয়োজন করা হয় হয়েছে রচনা প্রতিযোগিতার । বাদ আছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি শিশু কিশোরদের জন্যেও আয়োজন করা হয় "মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" এর উপর আবৃত্তি ,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা,দেশাত্ববোধক গানের আয়োজন। বিকাল ৫ টায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যপী কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।

২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে "গ্রীণ ফর পিস, চুয়েট" থেকে ক্যাম্পাসের উল্লেখযোগ্য পয়েন্টে "Cleaning চাম্পাইগ্ন" চালানো হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনে চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এবং সাথে ছিলো গ্রীণ ফর পিসের কার্যকরী সদস্যবৃন্দ।

এছাড়াও ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষা নিয়ে স্মারক লিফলেট বিতরণ করেছে চুয়েট ছাত্র ইউনিয়ন।

যাাযদি/ এম