ঢাবিতে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা সেই ছাত্রলীগ নেতাকে হল থেকে বহিষ্কার

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৬

যাযাদি ডেস্ক
আরাফাত হোসেন অভি। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলা সেই ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত হোসেন অভিকে এবার বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে আপনি ক্যান্টিনে গিয়ে দুপুরের খাবার নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাকি খাতায় লিখে রাখতে বলেন। এ সময় ক্যান্টিনের ক্যাটারার জন্য মো. ফাহিম আপনার নিকট পূর্বের বাকি ২ হাজার ৬৫০ টাকা চাওয়ায় আপনি পরে পরিশোধ করবেন বলে জানান।

ক্যান্টিনের ক্যাটারার তার ম্যানেজারকে বলে পরবর্তীতে আপনাকে আর বাকি খাবার না দিতে। এতে আপনি মেজাজ হারিয়ে ফাহিমের কলার চেপে ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং চর-থাপ্পড় দেন। একপর্যায়ে, আপনি ফাহিমের শার্টের কলার এবং দাড়ি ছিঁড়ে ফেলেন। ছাত্ররা আপনাদের দুজনকে আলাদা করে দিলে আপনি পরবর্তীতে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে শাসান এবং এই ঘটনা নিয়ে কোনোরূপ বাড়াবাড়ি না করতে বলেন।’

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ফাহিম উল্লেখ করেছিলেন, ‘দুপুরে ক্যান্টিন চলাবস্থায় আমি ক্যাশে বসা ছিলাম। এমন সময় মো. আরাফাত হোসেন অভি এসে আমার কাছে খাবার চায়, আমি খাবার দিলাম এবং আগের বাকি টাকা ২ হাজার ৬৫০ টাকা তার কাছে চাওয়াতে তিনি আমার উপরে উত্ত্যক্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করে বসে। এ সময়ে তিনি আমার গায়ে হাত তুলে এবং আমাকেসহ আমার ম্যানেজারকে দুই দফা মারধর করে। এ সময়ে তিনি আমার দাড়ি, শার্ট, লুঙ্গি, গেঞ্জি টেনে ছিঁড়ে ফেলে। আমি নিরুপায় হয়ে ক্যান্টিন থেকে বেরিয়ে যাই এবং হলের ছাত্রদের কাছে আশ্রয় নেই।

অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি ঘটনার দিন বলেছিলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম আমার বিকাশে সমস্যা টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি।

যাযাদি/ এস