প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি : একদল তরুণ শিক্ষক ও গবেষকের স্বপ্নযাত্রা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৩:১৪

যাযাদি ডেস্ক
-ফাইল ছবি

প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ব্লকচেইন টেকনোলজি, ডাটা সায়েন্স ইত্যাদির মতো নবতর বিশেষায়িত শাখার সংযোজন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিক্ষা থেকে শুরু করে ভাষা বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার ব্যাপ্তস্তরে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে শিক্ষা ও শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় নতুন দর্শন, নতুন ভাবনা, নতুন চিন্তা এবং নতুন উপায় উদ্ভাবনের। এই বিষয়টিকে বিবেচনায়  রেখে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তার সমগ্র উচ্চশিক্ষার শিক্ষণ প্রক্রিয়াটিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর প্রয়াস নিয়েছে। এবং এই নতুন ভাবনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্সির কাফেলায় যোগ দিয়েছেন দেশ সেরা একদল উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণ শিক্ষক এবং গবেষক।

হাসান আল রিফাত: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নতুন আলো

হাসান আল রিফাত সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যোগ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে তার স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, যেখানে তিনি ৪-এর মধ্যে ৩.৯৫ সিজিপিএ পেয়ে ৭ম স্থান অধিকার করেন। রিফাতের একাডেমিক রেজাল্ট এবং শিক্ষকতার প্রতি তার আন্তরিকতা তাকে প্রেসিডেন্সির জন্য একটি মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছে। ফলশ্রুতিতে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ও গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবেন বলে আশা করা যায়।

সাল সাবিল চৌধুরী: প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে আইন শিক্ষার পথিকৃৎ 

সাল সাবিল চৌধুরী একাডেমিক ফলাফলে অনন্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সম্মানসহ মাস্টার অব লজ (এলএল.এম.) ডিগ্রি অর্জন করেন। তার সিজিপিএ ছিল ৪ মাত্রার স্কেলে ৪. যা তার অসাধারণ একাডেমিক যোগ্যতার প্রমাণ বহন করে। অন্যদিকে, ব্যাচেলর অব লজেও (এলএল.বি.) তার একাডেমিক রেজাল্ট ছিল ঈর্ষণীয়। তাছাড়া কাঠমুন স্কুল অব লজ থেকে তিনি আইন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রিও অর্জন করেন। অধিকন্তু, ICPL থেকে আইন ও বাণিজ্যিক সালিশি বিষয়ে ডিপ্লোমা প্রাপ্তিও তার অসামান্য একাডেমিক সাফল্যের প্রমাণ। সাল সাবিল চৌধুরীর আইন বিষয়ে দক্ষতা, অধ্যাবসায় ও আগ্রহ নিঃসন্দেহে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের পাঠ্যক্রমসমূহের উন্নয়নে অবদান রাখবে, যা শিক্ষার্থীদের আইনি ক্ষেত্রে সফল ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত করবে।

জারিন তাসনিম রাইসা: ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাজ্ঞানে ঋদ্ধ একজন

জারিন তাসনিম রাইসা ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাজ্ঞানে ঋদ্ধ একজন ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে  প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে লেকচারার হিসাবে কর্মরত। সাল সাবিলের মতো জারিনও একজন একাডেমিক জিনিয়াস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে জারিন এমএ এবং বি.এ (অনার্স) এ যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং প্রথম স্থান অর্জন করেন। তার একাডেমিক উৎকর্ষতা এবং ইংরেজি সাহিত্য ও ভাষাবিজ্ঞানের গভীর জ্ঞান প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার মানকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে। জারিন তাসনিম রাইসার ব্যতিক্রমী শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং গবেষণায় আগ্রহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি উৎসাহ-উদ্দীপনামূলক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

মধুপম চৌধুরী: প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উৎকর্ষতার পথে 

লেকচারার হিসাবে সম্প্রতি মধুপম চৌধুরীর যোগদান প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে শক্তিশালী করেছে। বুয়েট ছাত্র মধুপমের রয়েছে অসাধারণ একাডেমিক পটভূমি। স্নাতকে মধুপম পেয়েছেন ৪ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৯৭ এবং মেধা পজিশনে চতুর্থ। শুধু তাই নয়, বুয়েটে একাধিকবার পেয়েছেন ডিন স্কলারশিপ। সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে "গোল্ডেন বয়" এবং "বছরের সেরা ছাত্র" হিসেবে তার স্বীকৃতি তার মেধা, পরিশ্রম এবং একাডেমিক উৎকর্ষতার পরিচায়ক। একাডেমিক এবং পেশাগত উন্নয়নের প্রতি মধুপম চৌধুরীর প্রতিশ্রুতি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত সফল পেশাজীবি হিসাবে ভীত নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সাহিহ শফি: ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে প্রচেষ্টা নিরন্তর 

সাহিহ শফি। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের প্রসারে নিরলস এক কর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন ইংরেজিতে এমএ এবং বিএ (অনার্স)। উভয় ক্ষেত্রেই তৃতীয় স্থান অর্জন করে অসাধারণ একাডেমিক রেকর্ড প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিএ (অনার্স) এ অর্জন করেছেন ৪ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৬১। অন্যদিকে এমএ তে পেয়েছেন ৩.৭৯। প্রয়োগিক ভাষাবিজ্ঞান এবং ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় (ইএলটি) তার দক্ষতা নিশ্চিত করে যে ছাত্ররা তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক ভাষা দক্ষতার সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিক্ষা গ্রহণ করবে। সাহিহ শফির শিক্ষার প্রতি নিবেদিত প্রাণ দৃষ্টিভঙ্গি শিক্ষার্থীদের প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষা অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করবে।

আবু সাদাত মাহমুদ: আলোকবর্তিকা হাতে একজন

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে আবু সাদাত যোগদান করেছেন। তিনি বুয়েট থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি করেছেন। সিজিপিএ ছিল ৪ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৯৫, যা তার একাডেমিক উৎকর্ষতা এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ। তার গভীর তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতা প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ব্যুৎপত্তি অর্জনে সহায়ক হবে। আবু সাদাত মাহমুদের শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং তার পেশাগত অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যার সমাধানে সক্ষম করে তুলবে। বিভাগের গবেষণা কার্যক্রমেও তার বিশেষ অবদান থাকবে বলে আশা করা যায়। ফলশ্রুতিতে প্রেসিডেন্সির একাডেমিক মান উন্নত হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক খ্যাতিকে আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।

শিশির দাস: আপন আলোয় ভাস্বর

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কাজ করছেন। একাডেমিক জীবনের সব স্তরেই শিশির ধারাবাহিক কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন। শিক্ষার প্রতি তার এই একনিষ্ঠতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিতে ছাত্রদের জীবন গঠনে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকবে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। বিবিএ এবং এমবিএ তে তার সিজিপিএ ছিল ৪ পয়েন্ট স্কেলে যথাক্রমে ৩.৭২ এবং ৩.৮৩। উল্লেখ্য যে, শুধু সিজিপিএ-ই নয়, উভয় পরীক্ষায় তিনি কৃতিত্বের সাথে প্রথম স্থান লাভ করেন। 
সুদীর্ঘ একাডেমিক যাত্রায় শিশির তার অসাধারণ মেধার স্বীকৃতিও পেয়েছেন। ২০২১ সালে সরকারি বৃত্তি (ট্যালেন্ট পুল), তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি এবং "প্রফেসর আবদুল্লাহ ফারুক ট্রাস্ট বৃত্তি" প্রাপ্তি তার যোগ্যতারই প্রমাণ বহন করে।

তমাল দত্ত: একজন গর্বিত শিক্ষক

তমাল দত্ত প্রিসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন লেকচারার। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন, যেখানে তিনি ৪.০০ এর মধ্যে ৩.৯৪ সিজিপিএ নিয়ে ৯ম স্থান অধিকার করেন। তার এই কৃতিত্বের জন্য তিনি ডিন'স অ্যাওয়ার্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় মেধা বৃত্তি লাভ করেন। তমাল দত্ত তার জ্ঞান, দক্ষতা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আগামী দিনের দক্ষ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে সচেষ্ট।

কামরুন নাহার: জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবে সবখানে

কামরুন নাহার প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিজনেস বিভাগের একজন লেকচারার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) এবং মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিবিএ তে ৪.০০ পয়েন্ট এর মধ্যে ৩.৭৪ সিজিপিএ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এমবিএ প্রোগ্রামেও মেধা তালিকায় তিনি দ্বিতীয় এবং এমবিএ তে সিজিপিএ ছিল ৩.৭৯। তার এই কৃতিত্বের জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা বৃত্তি এবং তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট বৃত্তি অর্জন করেন। কামরুন নাহার জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
 
এস. এম. আরাফাত হোসেন: আলোর মশাল হাতে

এস. এম. আরাফাত হোসেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সম্প্রতি যোগদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন, যেখানে তিনি ৪.০০ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৯৬ নিয়ে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেন। তিনি একাধারে চার বার ডিন'স অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও তিনি তার এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের বৃত্তি অর্জন করেন।

এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষকের আলোর মশাল হাতে প্রেসিডেন্সির সাথে এই যে যাত্রা তা আলোকিত করবে দশ দিগন্ত। আমরা বিশ্বাস করি আলোকিত এই দশজনের জ্ঞান-মেধা- প্রজ্ঞা এবং গবেষণায় ঋদ্ধ হবে প্রেসিডেন্সির অগণিত ছাত্র। আগামী দিনের অনাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এইসব তরুণ গবেষকরাই একদিন দেশ ও জাতিকে নিয়ে যাবে এখন অন্য উচ্চতায়।

যাযাদি/এস