‘ফ্রেমে বন্দী ৩৬ জুলাই’দেখে কাঁদলেন জামায়াত আমির
প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৪৭

ইতিহাসকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ইতিহাসকে সামনে আনতে হবে, যাতে এ দেশে ভবিষতে বীরের জন্ম হয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ‘ফ্রেমে বন্দী ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক ফ্যাসিবাদবিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শেষ দিনে পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫ আগস্ট যে বিজয় দেখেছে গোটা জাতি, দল-মত নির্বিশেষে তা সবাইকে হৃদয়ে লালন করতে হবে।’ এ সময় কান্নায় ভঙ্গে পড়েন ডা, শফিকুর রহমান। তখন সেখানে উপস্থিত অনেককেই চোখ মুচতে দেখা যায়।
গত ৭ ডিসেম্বর ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ প্রদর্শনী শুরু হয়।
এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে রক্তাক্ত জুলাই আন্দোলন ও শহীদদের আত্মত্যাগের গল্প, গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সাহসী সংগ্রাম তুলে ধরা হয়।
প্রদর্শনীর শেষ দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘দু’ হাজার চব্বিশে বাংলাদেশের রক্তাক্ত জুলাই পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন তুলেছিল। সাঈদ ও মুগ্ধসহ শত সহস্র প্রাণের বিনিময়ে জাতি পেয়েছে নতুন স্বাধীনতার স্বাদ।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মো: সেলিম উদ্দিন, নারায়নগঞ্জ মহানগর আমির আব্দুল জব্বার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, হাফেজ রাশেদুল, বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিল প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শামসুল আলম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় গুম তদন্ত কমিশনের সদস্য নুর খান লিটন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী শহিদুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটির আহ্বায়ক, লেখক এবাদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শেহরিন আমিন মনামী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম, প্রসিকিউটর তারেক আব্দুল্লাহ, প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম, প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী প্রমুখ।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আবু বাকের মজুমদার, হাসিব আল ইসলাম, জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্যা রহমাতুল্লাহ্, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি)-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কামরুল হাসান, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কে এম ইমরান হুসাইন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) ঢাবির নেতারা, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন (ইরান)-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আসিক আল আবিদ, মুহাম্মদ ইরাকুব মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনীতে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করি ‘ফ্রেমে বন্দী ৩৬ জুলাই : অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ প্রদর্শনীটি দেশবাসীকে ৩৬ জুলাই আন্দোলনের ত্যাগ ও আত্মত্যাগের ইতিহাস পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। আগামীতে এ অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা যাতে সব সময় সব ধরনের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারি।’
যাযাদি/ এস