জাবিতে ভিসি কোটা বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০১

জাবি প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ভর্তিতে ভিসি কোটা বাতিল সহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন জাবি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর)  বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আরও তিনটি দাবি হলো, পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি এবং ইউনিট কমানো। অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা। এদিকে ভিসি কোটা বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। তবে এই আশ্বাস বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন।

মানববন্ধনে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের শাবাবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি কোটা নেই। আগামী এক কর্মদিবসের মধ্যে ভিসি কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করার জোর দাবি জানাচ্ছি । এছাড়া পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রিক সকল বৈষম্য দূর করতে হবে।

পোষ্য কোটা নিয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসান বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে । তবে নবম গ্রেড অথবা তার অধিক পদমর্যাদার কোন শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ তারা সমাজের কোন অনগ্রসর অংশ নন সুতরাং তাদের এইরকম একটি অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ করা বৈষম্যবিরোধী যে চেতনা তার সাথে সাংঘর্ষিক। সেই সাথে পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে যেন ন্যূনতম একটা স্ট্যান্ডার্ড কাট মার্ক রাখা হয় এবং সেই কাটমার্কটা যথাযথভাবে অনুসরণ করেই যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি নেওয়া হয়।’

গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে অনিয়ম, দুর্নীতি হতো সেগুলোর ব্যাপারে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন বরাবরই সোচ্চার ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা গত ১৪ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল, ভিসি কোটা বাতিল, পোষ্য কোটার যৌক্তিক সংস্কার অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের মৌখিক আশ্বাস দিলেও এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাদের কোন কার্যকর পদক্ষেপ আমাদের চোখে পরেনি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বশেষ কঠোর হুঁশিয়ারি দিতে চাই যদি আজকের মধ্যে ভিসি কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেওয়া না হয় এবং অন্যান্য দাবিগুলোর ব্যাপারে আমরা কোন সদুত্তর না পাই তাহলে আমরা আগামী এক কর্ম দিবসের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করতে বাধ্য হব। একইসঙ্গে এই সমস্যাগুলোর সমাধান না করে আমরা কিছুতেই আগামী ভর্তি পরীক্ষা হতে দিব না।

এছাড়াও মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহাদী প্রমুখ।

যাযাদি/ এআর