মধ্যরাতে উত্তাল যবিপ্রবি

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০০

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে এগারোটায় এ মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যবিপ্রবি শাখার ফেসবুক পেইজ থেকে বুধবার আনুমানিক রাত ১০ টায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারী মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির একটি বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ও তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের আয়োজন করে যবিপ্রবির শহীদ মসীয়ূর রহমান হল ও মুনশী মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা শহীদ মসীয়ূর রহমান হল থেকে মশাল মিছিলটি বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক হয়ে প্রশাসনিকের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাচতে চাই', 'অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'কুত্তালিগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'ছাত্র সমাজের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ', ছাত্রলীগের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

নিষিদ্ধ সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যবিপ্রবির পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রকিব হাসান রাফি বলেন, খুনি হাসিনার দোসর লীগ ১-৫ ফেব্রুয়ারী লিফলেট বিতরণ ও ৬ ফেব্রুয়ারী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলনের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, তারা এরকম কর্মসূচি পালনের সাহস পায় কিভাবে? যশোরের আন্দোলন যবিপ্রবি থেকে শুরু হয়েছে, ছাত্রলীগের এমন পোস্ট ও কর্মসূচির বিরুদ্ধেও প্রথম আন্দোলন যবিপ্রবি থেকেই শুরু হয়েছে। আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

যবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সবসময় স্বোচ্ছার থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান বলেন, জুলাই-আগস্টে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ প্রশাসনের উচিত তাদের সেই অবস্থান থেকে বের হয়ে ছাত্রজনতার পক্ষে দাড়ানো। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের উপর কড়া নজরদারি রেখে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

যাযাদি/ এস