পবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নেতৃত্বে সোহান-তাহসিন

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:১১

পবিপ্রবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটির নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন মো. নুরুন্নবী সোহান ও তাহসিন রহমান।

১৭ মার্চ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নেতৃত্ব প্রদান করা হয়।

নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আইন ও ভূমি প্রশাসন অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নুরুন্নবী সোহান এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী তাহসিন রহমান। সহ-সভাপতি (প্রশাসনিক) হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া হক রাইসা, অনির্বাণ সাহা, সাকিবুল হাসান রাহাদ, ইব্রাহিম ইবু ও সাইফুল আরেফিন। সহ-সভাপতি (বিতর্ক ও কর্মশালা) হিসেবে রয়েছেন নাফিয়া নাওয়ার, এস এম ওমর, মো. সাইদুর রহমান, সাব্বির আহমেদ ও জুবাইর ইবনে আনোয়ার।

সহ-সাধারণ সম্পাদক (প্রশাসনিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লামিয়া কবির ফাল্গুনী, উদিতা সরকার চন্দ্রবিন্দু, মাহিমা চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল ও তালহা রশিদ। সহ-সাধারণ সম্পাদক (বিতর্ক ও কর্মশালা) হিসেবে আছেন মো. সাকলাইন মোস্তাক শাকিল। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরমান বিন আওলাদ এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নওশীন এহসান এশা।

প্রচার সম্পাদক হিসেবে মো. জয় ভাঙ্গী, দপ্তর সম্পাদক হিসেবে সুদীপ্ত মজুমদার এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালাম দায়িত্ব পালন করবেন। এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা হলেন মেহেদী হাসান, নেসার আহমেদ, স্মৃতি রাণী মন্ডল, মো. শাহে আলম জিসান, প্রিয়াঙ্কা নন্দী, সোহাগ, মিঠুন রায়, ইমতিয়াজ মুরাদ, গাজী সামিহা রহমান মাহি ও অমিয় জামান।

নবনির্বাচিত সভাপতি মো. নুরুন্নবী সোহান বলেন, "পবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা আমার জন্য এক বিশেষ সম্মান। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম স্যারসহ সকল উপদেষ্টাদের। আগের কমিটির অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ আমাদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে। নতুন নেতৃত্বে ডিবেটিং সোসাইটিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।"

সাধারণ সম্পাদক তাহসিন রহমান বলেন, "আমি বিশ্বাস করি, বিতর্ক শুধু যুক্তি-তর্কের খেলা নয়, বরং এটি চিন্তার প্রসার ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধির এক শক্তিশালী মাধ্যম। একজন ভালো বিতার্কিক যেকোনো বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে শেখে এবং নিজের মতামত যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপন করতে পারে। বিতর্ক আমাদের শুধু কথা বলার ক্ষমতা বাড়ায় না, বরং শ্রবণ ও বিশ্লেষণের ক্ষমতাও বাড়ায়। এটি আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও যুক্তি বিশ্লেষণের প্রসার ঘটানো এবং জায়গা তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।"

যাযাদি/ এসএম