জবিতে বিক্ষোভ, ইসরায়েলি পন্য বয়কটের আহ্বান
প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২১

ইসরায়েলের সকল পন্য বয়কয়টের আহ্বান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.রেজাউল করিম। সেই সাথে দেশি পন্য ব্যবহার করে গাজাবাসীর জন্য আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত "বর্বর ইসরাইল কর্তৃক গাজায় নির্বিচারে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা" সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সংহতি সমাবেশে উপাচার্য বলেন, মাসের পর মাস বর্বোরোচিত গণহত্যা চলছে। দেরিতে হলেও আমরা এর প্রতিবাদে দাঁড়িয়েছি। আমরা এখান থেকে কিছুই করতে পারছি না। আমাদের দোয়া যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন তাহলে হয়তো তাদের দূর্দশার সমাপ্তি হবে।
এছাড়া সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছউদ্দীনের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড.মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য দেন।
এছড়া ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে
বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। যোহরের নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সমাবেশে শিক্ষক কর্মকর্তারাও অংশগ্রহন করেন।
এসময় তারা "নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার", " বদরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার, উহুদের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দিন বলেন, আনাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছি। আমাদের সরকারের প্রতি আহ্বান, বাললাদেশ থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে হবে। আজকের বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করছি ইসায়েলি সকল পণ্য বর্জন করছি।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রাকিব বলেন, আমাদের এখন বক্তব্য দেওয়ার সময় নেই। আমরা অনেক সমবেদনা, একাত্মতা দেখেছি। আনাদের এখন এ্যাকশনে চলে যেতে হবে। আমাদের মুসলিমদের একত্রিত হতে হবে। আমেরিকার এ্যামৃবাসি গেরাও করে লাভ নেই। আমাদের মুসলিম দেশ গুলোকে জাগাতে হবে। ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, মিশরকে জাগাতে হবে। এখন পর্যন্ত ইনটেরিম সরকারের কোনো বিবৃতি দেখলাম না। এখন ফিলিস্তিনের ুপর হামলা হত্যা চলছে, কিছুদিন পর দেখবেন আপনাদের উপর হামলা হবে। এরপর সৌদি, মিশরও পার পাবে না।
জবি ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আজ কোথায় সেই মুসলিম উম্মাহ? কোথায় মুসলিম দেশগুলো? কোথায় মুসলিম নেতৃবৃন্দ? আমাদের নবীজির জমিন আজ রক্তে রঞ্জিত। বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশকে শক্তিশালী হতে হবে। আমাদেরকে আত্মনির্ভর হতে হবে। এমন অবস্থানে যেতে হবে যাতে আমরা আর কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়—চাই সেটা অস্ত্র হোক বা কোনো পণ্য।
এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এবং ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দোয়া করেন।
যাযাদি/ এমএস