হাসনাতের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে ইবিতে বিক্ষোভ মিছিল
প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ০৮:৫৮

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ’র গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখে দলটির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এ তথ্য জানান।
রবিবার (০৪ মে) রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে সমাবেত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, ছাত্রলীগ নো মোর’ ;‘অ্যাকশান টু অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’ ; ‘শিক্ষার্থীদের অ্যাকশান, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’ ; ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশান’ ; ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ; ‘হাসনাতের ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’ ; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেবো রক্ত’ ; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় মিছিলে সমন্বয়ক এস এম সুইট, নাহিদ হাসান, গোলাম রাব্বানী, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, নাহিদ হাসান জোয়ার্দারসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েই যদি হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইয়ের মতো মানুষের উপর হামলা হয়, তাহলে আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে? এর আগে পিলখানা হত্যা হয়েছে, শাপলা চত্বরে হত্যা হয়েছে কিন্তু বিচার হয়নি। বিচার হয়নি বলেই আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পেরেছে। চব্বিশের গণহত্যার বিচার করতে না পারলে পরবর্তীতে অন্য কোন সরকার আরও বড় স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। আপনার প্রধান কাজ ছিল গণহত্যার বিচার করা কিন্তু আপনি তা করতে পারেননি। ইকোনমি না বাড়িয়ে আওয়ামী লীগের বিচার করুন নইলে পরবর্তীতে ইকোনমি আবার লুট হয়ে যাবে।”
সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, “অগণিত শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। এর আগেও সার্জিসের উপর কয়েক দফায় হামলা চালানো হয়। এভাবেই ব্যক্তি টু ব্যক্তি টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। এসকল হামলার প্রতিবাদ তো আমরা করবোই, তবে আমাদের একমাত্র দাবী যে আওয়ামী লীগ শতশত ভাইকে হত্যা করেছে, আহত করেছে সেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ছাত্রলীগকে নামেমাত্র নিষিদ্ধ করা হলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা উঠলেই ইন্টেরিমসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল কথা ঘোরানোর চেষ্টা করছে। চব্বিশের অভ্যুত্থান কে রক্ষা করতে হলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ও বিচার নিশ্চিত করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা নেই।”
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রনায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইর উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আজকে হাসনাতের ওপর হামলা হয়েছে, আগামীকাল আমার আপনার উপর হতে পারে। প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও অনেকেই এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে নাই। তারা নিষিদ্ধ চায় না কারণ তারা হয়তো ভোটে হেরে যাবে। জুলাই অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার যে গণহত্যা চালিয়েছে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবে৷ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই, আগামী সিন্ডিকেটে জুলাই অভ্যুত্থানে বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা দেখতে চাই।”