শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ ও কাঠামোগত উন্নয়নে শাবি ছাত্রদলের ১১ দাবি

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২৫, ২০:১০

শাবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ ও কাঠামোগত উন্নয়নে এগারো  দাবি পেশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী ছাত্রদল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী কাছে এগারো দাবি নিয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (১৫) শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এগারো দফা দাবিতে ছাত্র যেসব দাবি তুলে ধরেছে।
১. ক্যাম্পাসে সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য একটি অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে সকলে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে এবং সংগঠিত হতে পারবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় গতি আনতে নিজস্ব বাজেট থেকে পর্যাপ্ত তহবিল বরাদ্দ করা জরুরি। থিসিসরত শিক্ষার্থীদের গবেষণায় উৎসাহ দিতে নির্দিষ্ট ভাতা প্রদান করতে হবে। রিসার্চ সেন্টারকে ফাংশনাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালের মানোন্নয়ন করতে হবে।

৩. খেলার মাঠগুলোতে পর্যাপ্ত পানির কলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ইনডোর খেলার মাঠ নির্মাণ এবং বিদ্যমান খেলার মাঠগুলোর নিয়মিত সংস্কার করে খেলার উপযোগী রাখতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামটিকে আধুনিকীকরণের জন্য নতুন ও ও উন্নতমানের ব্যায়ামের সরঞ্জাম সংযোজন করতে হবে।

৪. লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বইয়ের সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি একটি আধুনিক ও আরামদায়ক রিডিং স্পেস তৈরি করতে হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজের বই নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে।

৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের মধ্যে দিয়ে আসা আশপাশের এলাকার নোংরা বর্জ্য ও ময়লা পানির প্রবাহ বন্ধ করতে টেকসই বিকল্প ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা এবং পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৬. ছাত্রদের হলের পাশাপাশি মেয়েদের হলগুলোতেও খাবারের মান উন্নত করতে সমান মনোযোগ দিতে হবে এবং খাবারের মেনুতে বৈচিত্র্য আনতে হবে।

৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোর নিয়মিত সংস্কার করতে হবে এবং যেসব এলাকায় আলোর স্বল্পতা রয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

৮. পরীক্ষায় প্রচলিত সনাক্তকরণ পদ্ধতির পরিবর্তে উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীদের সনাক্তকরণের জন্য অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (OMR) পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন রাখা সম্ভব হবে, যা শিক্ষক কর্তৃক ব্যক্তিগত বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে নম্বর প্রদানের ঝুঁকি হ্রাস করবে।

৯. প্রতিটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ করতে হবে এবং তাদের কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।

১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে এবং সার্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস ডাক্তারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে। প্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকতে হবে।

১১. বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাসের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি। বিশেষ করে নিরাপদ যাত্রার জন্য ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা বাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

ছাত্রদল শাবি শাখার সভাপতি রাহাত জামান ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার উক্ত বিষয়গুলোর ওপর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য  অনুরোধ করেছেন বলে জানান দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান প্রিন্স।