নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে রাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি
প্রকাশ | ২১ মে ২০২৫, ১৪:৫১

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, ইসলামবিরোধী ও নৈতিকতা বিচ্যুত সুপারিশ প্রত্যাখ্যান এবং 'নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা'র বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা, রাবি শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে "নারী পুরুষ বাইনারি এই শর্তেই দেশ গড়ি", "যৌন কর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান", "সম অধিকার নয়; চাই ন্যায্য অধিকার", "নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী", "পতিতাবৃত্তি কে না বলি", "সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না", "নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই, অপসংস্কৃতি চলবে না", 'Say No to LGBTG Agenda" স্লোগানের প্লেকার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়।
এসময় ছাত্রীসংস্থার নেত্রীরা জানান, "গত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন-২০২৫ এর ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটা টিম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ৩১৮ পৃষ্ঠার ৪২৩টি প্রস্তাবণা দেন। যার অধিকাংশ প্রস্তাবণা আমাদের ইসলাম ধর্ম-জাতিসত্ত্বার সাথে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের সাথেও সাংঘর্ষিক যেখানে নারীদের মর্যাদাকে খর্ব করা হয়েছে।"
সভায় তারা আরো বলেন, "এখানে তারা স্বাধীনতার নামে যে প্রস্তাবণা দিয়েছেন এতে আমাদের পরিবারিক কলহ আরো বাড়িয়ে তুলবে। তাঁরা এখানে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা পক্ষ থেকে নারী পুরুষের কিছু পার্থক্য রয়েছে। একজন নারী-পুরুষের ক্যারেক্টরিস্ট আলাদা। পুরুষের এমন কিছু ক্যারেক্টরিস্ট আছে যা নারীকে দেওয়া হয়নি আবার নারীর কিছু ক্যারেক্টরিস্ট আছে যা পুরুষকে দেওয়া হয়নি। এ ক্যারেক্টরেস্টকে অগ্রাহ্য করে তারা ভিন্ন যুক্তি দাড় করাচ্ছে।
আমরা এ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই।
একইসাথে এ সংস্কার কমিশনের যারা সমালোচনা করছে এটাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য তখন তারা 'নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার' নামে নতুন নাটক শুরু করেছে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অশালীন পোষাকে নারীর অধিকার আদায়ের নামে নারীর ভূষণকে খর্ব করা হয়েছে, ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যা ধর্মীয় অবমাননা, ট্রান্স মুক্তিকে নারীমুক্তি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম নারীর সাথে সাংঘর্ষিক তারা এলজিবিটিজি'কে প্রমোট করছে। যা আমাদের মানবসম্প্রদায় জন্য একটা বিধ্বংসী মতবাদ। অথচ ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিকৃত মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভুত, মানবকল্যাণেই যার বৈধতা নয় বরং চিকিৎসার প্রয়োজন।
এসময় ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল এবং সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানান তাঁরা।