সিকৃবির ক্যাফেটেরিয়ার মাছে মিললো অর্ধশত লার্ভা
প্রকাশ | ২২ মে ২০২৫, ১৭:০৪

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে এবার পোকার লার্ভা পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এক পিছ মাছের তরকারি এক দুটি নয় বরং ৩০-৪০টি পোকার লার্ভা পাওয়ার অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী। ক্যাফেটেরিয়ার অব্যবস্থাপনা ও খাবারের দাম নিয়ে যখন শিক্ষার্থীদের একের পর এক অভিযোগ তখনই খাবারে মিললো এই পোকার লার্ভা। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পরিবর্তনের দাবি জানান।
মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবার খেতে গিয়ে পাঙ্গাস মাছের তরকারিতে বড় আকারের পোকা (লার্ভা) দেখতে পাওয়ার অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ইমরান মিয়া। এসময় তিনি ঐ মাছের অংশের ছবি সাংবাদিকদের দেখান। ছবিতে দেখা যায় বড় আকারের পোকার লার্ভা (ম্যাগট) মাছের বিভিন্ন অংশে কিলবিল করছে।
ইমরান মিয়া জানান, দুপুর খাবারের জন্য ক্যাফেটেরিয়া থেকে মাছ কিনেছিলাম। মাছটি হয়তো অনেক আগের এবং পঁচা ছিল । অর্ধেক খাবার খাওয়ার পরে মাথার মুল অংশ ভাঙতেই প্রায় ৩০-৪০টি পোকার লার্ভা বের হয়ে আসে৷ এরকম অবস্থা দেখে বমি করতে করতে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।
এরআগেও শিক্ষার্থীরা ক্যাফেটেরিয়ার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিম্নমানের খাবার নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও সিকৃবি প্রশাসন ক্যাফেটেরিয়ার সার্বিক মান বৃদ্ধিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী ওয়াদুদ বলেন, ক্যান্টিনের খাবারের মধ্যে লার্ভা পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন এর জন্য খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে ক্যান্টিনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী নিয়মিত পরিদর্শন করা। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসনকে বিষয়গুলো বারবার অবহিত করার পরেও জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছেনা যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে সিকৃবির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক নুরে আলম শাহীন বলেন, মাছ পঁচা ছিল এমন না। বাবুর্চির অবহেলার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। আমি বাবুর্চিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্যাফেটেরিয়ার ভাত বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে যাথাযথ ব্যবস্থা নিবো।