শিবিরের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল-যুবলীগের হামলা, আহত ৯

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২৫, ০৮:৪৩

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

৮ বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

গতকাল (৩১ মে) শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত একযোগে দেশের ১৩৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। 

এই ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের বসানো দুটি কেন্দ্রের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। 

এতে অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের কমার্স কলেজ ও রংপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।

রংপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রশিবির হেল্প ডেস্ক স্থাপন করেছিলাম আমরা। সেখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কলম, পানির বোতল সরবরাহ করার পাশাপাশি তাদের মোবাইল-মানিব্যাগও জমা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

‘‘আমাদের ডেস্কের ঠিক উল্টে পাশে চিড়িয়াখানা গ্যারেজ কর্তৃপক্ষ আরেকটি ডেস্ক বসিয়েছে। তারা টাকার বিনিময়ে মোবাইল-মানিব্যাগ জমা রাখার ব্যবস্থা করে। আর আমরা বিনামূল্যে এই সেবা দিচ্ছিলাম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের ১৫-২০ জন এসে আমাদের ডেস্কে হামলা করে। এতে ৫ জন আহত হয়েছেন।’’

তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা গ্যারেজ কর্তৃপক্ষের লোকজন রংপুর যুবলীগের নেতা মুরাদ খানের অনুসারী। এ হামলার ঘটনায় রংপুর কোতোয়ালী থানায় মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সরকারি কমার্স কলেজ কেন্দ্রের হেল্প ডেস্কে ছাত্রদল হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি।

তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য হেল্প ডেস্ক করা হয়। সেখানে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। এসময় বিনা উসকানিতে তারা হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমাদের ৪ জন আহত হয়েছেন।

তবে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ফয়সাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে কলেজে অনেক শিক্ষার্থীর সমাগম হয়। গেটের বাইরে একটি হেল্প ডেস্কে মোবাইল রাখা নিয়ে একজন ছাত্রীর সঙ্গে সমস্যা হয়। তখন কলেজের ভেতর থেকে একজন বলতে থাকে— ‘ছাত্রদল ধর, মার’। এরপর সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। আমরা কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ জানিয়েছি।