দ্বিতীয়বারের মতো দেশসেরা আদিব: জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৫ 

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২৫, ১৩:২৭

যাযাদি ডেস্ক
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৫ প্রথম স্থান পদক নিচ্ছেন মেধাবী শিক্ষার্থী তাহমিন ইসলাম আদিব। ছবি: যায়যায়দিন

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৫ এ জাতীয় পর্যায়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম স্থান অর্জনের গৌরব অর্জন করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার গজন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী তাহমিন ইসলাম আদিব।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়ে দেশসেরা হয় এই কৃতি শিক্ষার্থী।

ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে একের পর এক প্রতিযোগিতা পার করে আদিব জাতীয় পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। সেখানে দেশের আট বিভাগের চূড়ান্ত পর্যায়ের সেরাদের হারিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।

তাহমিন ইসলাম আদিব গজন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসরাত জাহান লাকী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. তানভীর আল ইসলাম দম্পতির সন্তান। পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামনস্ক পরিবেশে বেড়ে ওঠা আদিব বিভিন্ন সময় চিত্রাঙ্কন, সংগীত, কবিতা আবৃত্তিসহ নানাবিধ সহশিক্ষা কার্যক্রমে অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।

প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ঢাকার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হল রুমে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা এবং আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন জনাব মাসুদ আকতার খান অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তাহমিন ইসলাম আদিবের এই সাফল্যে গর্বিত তার বিদ্যালয় ও পরিবার। আদিব বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট সিরাজ আবিদ ও তাহমিনা আবিদের দৌহিত্র। তার এই অসাধারণ অর্জনে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ।

জাতীয় পর্যায়ে টানা দ্বিতীয়বার প্রথম স্থান অর্জন করে তাহমিন ইসলাম আদিব শুধু গৌরীপুর নয়, ময়মনসিংহ বিভাগ এবং সমগ্র দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান ও গর্বকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।