আবু সাঈদের হামলাকারীকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৫, ১৬:২৯

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) আবু সাঈদ ও জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর নাম জাকির হোসেন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হামলাকারীকে পুলিশে সোপর্দ করা ওই শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, পুলিশ প্রশাসন তো আসামি নিজে থেকে ধরেই না। তাও আমরা ধরে দিলেও তারা মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এইটা প্রশাসনের উদাসীনতা।
তারা বলেন, ১৬ জুলাই আবু সাঈদের ওপর হামলার দিন ওই ছেলের হাতে অস্ত্র ছিল। অস্ত্র হাতে সে হামলা চালায়। অথচ তাকে প্রশাসন ছেড়ে দেয়। হামলার ফুটেজও আছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মোসাদ্দেকুর বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। এমন একটা ঘটনার ঘটেছে আমি শুনছি। ওই দিন দায়িত্ব ছিলেন তাজহাট থানার এসআই জাকির।
ওই দিন দায়িত্বে থাকা তাজহাট থানার এস আই জাকির বলেন, আমি মোবাইল ডিউটি করতে ছিলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বলেন একজন বহিরাগত আটক আছে। তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। আটক ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, তেমন কিছু না। বহিরাগত টোকাই ক্যাম্পাসে ঢুকেছে। তাই তাকে ছেড়ে দিতে বলি। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি কিনা জানতে চাইলে তিনি পরে ফোন দিবেন বলে ফোন কেটে দেন।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ বলেন, এই ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভালো বলতে পারবেন। জাকির হোসেন নামে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলার আসামি কিনা জানিত চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ একজন আছে এই নামে।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়াকে প্রধান আসামি করে আট পুলিশসহ ৭১ জন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০/১০০ জনের নামে একটি মামলা করেন। এছাড়া আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে করা মামলা ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাতনামা আছে।