আবু সাঈদ হত্যা : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর অনাস্থা

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ১৫:৫৩

বেরোবি প্রতিনিধি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে সংবাদ সম্মেলন এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশ সরাসরি জড়িত হওয়া সত্ত্বেও এই পুলিশি হত্যাকাণ্ডকে প্রশাসনিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে চালিয়ে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা। তাই আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু সাঈদ গেটে সংবাদ সম্মেলন এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেন শিক্ষক - শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন,আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যাতে ঘটনাস্থলে এসে সাক্ষী বাদীদের সাথে কথা বলে গণশুনানির মাধ্যমে সঠিক তথ্য পাঠাতে বলেন।এটি যদি করা না হয় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলন আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এর জড়িত ছিল তাদেরকে সূক্ষ্মভাবে পাশ কাটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

 আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন আরো বলেন, একটি তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জন ব্যক্তির সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেছে। তবে পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও তারা কোনো পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করেননি। বরং একটি প্রশাসনিক অবহেলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অভিযুক্ত করেছেন, যা আমাদের কাছে প্রক্রিয়াগত বিচ্যুতি ও প্রহসনের শামিল। আমরা এই ট্রাইব্যুনালের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করছি।

এছাড়াও, ২৩ জুন নির্ধারিত গণশুনানির পূর্ব ঘোষণা থাকলেও ট্রাইব্যুনালের একটি বিশেষ টিম রংপুরে না এসে অজ্ঞাত কারণে সেই গণশুনানি বাতিল করে এবং তড়িঘড়ি করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায়। এই আচরণ তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলন আরো জানানো হয় যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা প্রকৃত দায়ীদের-বিশেষত যাদের নির্দেশে এই গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে-তাদের আইনের আওতায় এনে প্রকৃত বিচারের প্রতিফলন নিশ্চিত করেন। একইসাথে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংস্থা ও নাগরিক সমাজকে আহ্বান জানাই, তারা যেন এই বিচার প্রক্রিয়ার যথাযথ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।