আজ পরীক্ষায় বসবে সেই আনিসা

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৫, ০৯:১৩

যাযাদি রিপোর্ট
ফাইল ফটো

মায়ের অসুস্থতার কারণে দেরিতে কেন্দ্রে আসায় গত বৃহস্পতিবার এইচএসসির প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে পারেনি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা। তবে আজ রবিবার বাংলা দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেবে সে। তার মায়ের শারীরিক অবস্থাও এখন বেশ ভালো।

গতকাল শনিবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।


তিনি বলেন, ‘আমি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি সে যেন পরের পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয়। সে আমাকে বলেছে, বাংলা দ্বিতীয়পত্রসহ পরের পরীক্ষাগুলোতে সে অংশ নেবে।’
আনিসার প্রথম পরীক্ষার ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘আগে সে বাকি পরীক্ষাগুলোতে অংশ নিক। এর মধ্যে আমরা অনেক সময় পাব। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটা উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।’ 


গত বৃহস্পতিবার পরীক্ষা না দিতে পেরে কেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে আনিসা। ওই পরীক্ষার্থীর কান্নায় ভেঙে পড়া ও কেন্দ্রের সামনে ছোটাছুটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা দেখে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দাবি ওঠে, তাকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার। পরে গত শুক্রবার শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, পাবলিক পরীক্ষা সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী আনিসার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখা হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আনিসার বাড়িতে আমাদের কলেজের সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি মেয়েটির বাসায় গিয়েছিলেন। খোঁজখবর নিয়েছেন।


যে সময় কামরুল ইসলাম সেখানে গিয়েছিলেন, তখন আনিসার মা একটি রুমে ঘুমাচ্ছিলেন। ফলে তাঁকে ডেকে ঘুম থেকে তুলে উনি আর কথা বলেননি। তবে ওই ছাত্রীর মা এখন বেশ সুস্থ বলে জেনে এসেছেন আমাদের শিক্ষক।’
এইচএসসির বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় আনিসার অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। সে জানিয়েছে, রবিবারের পরীক্ষায় সে যথারীতি অংশ নেবে। পরবর্তী সব পরীক্ষায়ও সে যথাসময়ে কেন্দ্রে গিয়ে অংশ নেবে।’

আনিসার সম্পর্কে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আনিসা আমাদের কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। টেস্ট পরীক্ষায় সে দুই বিষয়ে ফেল করেছিল। এর পরও তাঁকে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকেই মেয়েটা এসএসসি পাস করেছিল। সে মোটামুটি একটা রেজাল্ট করেছিল।’