জাবি’র ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি টাকার বাজেট পাশ
প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৫, ১৮:০৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার বাজেট পাশ করা হয়েছে। পাশকৃত এই বাজেটের সিংহভাগই অর্থাৎ ৬৮ শতাংশের বেশি ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশন খাতে।
এর বিপরীতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক উদ্দেশ্য গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৩ শতাংশেরও কম।
রোববার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম সিনেট অধিবেশনে এই বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। পরে উপাচার্য কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে সিনেটররা এ বাজেট পাশ করেন।
অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রব ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৩৩৭ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার সংশোধিত বাজেট এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ৩২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার মূল বাজেট উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৫৬.২৪ শতাংশ। এছাড়া পেনশন ও অবসর সুবিধার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ১১.৯৯ শতাংশ।
সম্মিলিতভাবে শুধু বেতন এবং পেনশন এই দুই খাতেই ব্যয় হবে ২৪২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, যা সর্বমোট বাজেটের ৬৮.২৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চালিকাশক্তি গবেষণা ও উদ্ভাবন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের মাত্র ২.৫৯ শতাংশ।
বাজেটে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে পণ্য ও সেবা (সাধারণ আনুষঙ্গিক) খাতে ৭২ কোটি ২৮ লাখ টাকা (২১.০৫%), পণ্য ও সেবা (রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত) খাতে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা (১.৮০%) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা (০.৬৬%) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এ বছর গবেষণা খাতে বরাদ্দ সামান্য বাড়লেও আনুপাতিক হারে তা অপ্রতুল।
অধিবেশনে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে আর্থিক বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারের নিকট দাবি জানানো হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংবিধি প্রণয়নের যথাযথ প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অধিবেশনে মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।