তিন বছরেও খুবিতে চালু হয়নি ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া
প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২৫, ১১:০৬ | আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৭

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৩ সাল থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তির কথা থাকলেও গত তিন বছরেও কার্যকর হয়নি ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি ব্যবস্থা। যদিও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ডোপ টেস্টের প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে তিন বছরেও কোনো অগ্রগতি নেই।
বিগত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর ও স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’-এর আয়োজিত এক মাদকবিরোধী শোভাযাত্রা শেষে বলেন, “আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির চিন্তাভাবনা রয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের সময় তাদেরও ডোপ টেস্টের প্রত্যয়ন বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।”
নতুন প্রশাসনের অধীনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে, তবে ডোপ টেস্ট বাস্তবায়নে নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি। জুলাই মাসের ২০ তারিখ থেকে নবীন ব্যাচের ক্লাস শুরু হতে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আগের প্রশাসনের সময় ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর একটি কমিটি গঠন করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ মোশাররফ বলেন, “খুবি প্রশাসন তিন বছর আগে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে অনেক শিক্ষার্থী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী এম. রিয়াজ বলেন, “মাদক একটি ভয়ঙ্কর নেশা। ডোপ টেস্ট চালু করে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে এই প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. কানিজ ফাহমিদা বলেন, “ডোপ টেস্টের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায় কেউ মাদকাসক্ত কি না। এটি একজন ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নির্ধারণে সহায়ক।”
আগামী বছর থেকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি শুরু হবে কি না— জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “শুধু প্রথম বর্ষ নয়, মাস্টার্স থেকে শুরু করে সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের দিয়ে শুরু করব। আশা করছি, এ বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু করা যাবে।”