সংস্কারে বেহাল দশা ববির কেন্দ্রীয় মাঠ, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯:২৬

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটিমাত্র খেলার মাঠ। কিন্তু এই মাঠটিই সংস্কারের নাম করে খুড়ে ও মাটির স্তুপ করে খেলাধুলার অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। সংস্কারে ধীরগতির কারণেই এমন বেহাল দশা হয়েছে মাঠটির।
একটিমাত্র খেলার মাঠের সংস্কারের নামে এমন বেহাল দশা হওয়ায় খেলাধুলা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে সংস্কারের নামে মাঠেট এমন বেহাল দশা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি মে মাসের শেষ দিকে মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল শাখা। এসময় মাঠে হালচাষ দেওয়া হয়, যা ছিল সংস্কারের প্রস্তুতিমূলক ধাপ। কিন্তু ছুটি শেষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ফিরে এলেও সংস্কার কাজের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এখনো মাঠের অবস্থা হালচাষের পরিত্যক্ত জমির মতোই পড়ে আছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের দাবি, দ্রুত মাঠ সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে মাঠটি খেলাধুলার উপযোগী করে তোলা হোক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাঠটিতে ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মাটি ফেলে সংস্কারের একটি কাজ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মে মাসের শেষ দিকে কাজটি শুরু করলেও এখনো মাটি ফেলে শেষ করতে পারেনি। প্রায় তিনশো গাড়ি মাটি ফেলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মাটি ফেলা হয়েছে মাত্র ৬০-৭০ গড়ি। এখন বৃষ্টিকাল হওয়ায় মাটি সংগ্রহ করতে না পারায় কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে। মাঠে ভালোমানের মাটি ফেলার কথা থাকলেও নিম্নমানের বালুযুক্ত মাটি ফেলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা৷
মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সিফাত বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি সংস্কারের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়রা মাঠে অনুশীলনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য হতাশাজনক। এছাড়া, হল টুর্নামেন্টের ইনডোর অংশ শেষ হলেও আউটডোর পর্ব সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। আমরা দ্রুত মাঠ সংস্কার সম্পন্ন করে খেলাধুলার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল টিমের অধিনায়ক কাজি সালমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে মাটি তুলে সংস্কার করা হচ্ছে। কাজটি অনেকদিন আগে শুরু হলেও এখনো শেষ করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টির সময় হওয়ায় মাটি পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমরা জেনেছি। এতে আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না নিয়মিত। প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে মাঠটি খেলাধুলার উপযোগী করার জন্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মুরশিদ আবেদীন বলেন, বৃষ্টির কারণে আশপাশের জমিগুলো জলমগ্ন হয়ে থাকায় ঠিকাদার প্রয়োজনীয় মাটি সংগ্রহ করতে পারছেন না। তবে মাঠ সংস্কারের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৮ আগস্ট। আশাকরছি এর মধ্য কাজটি শেষ করতে পারবো।
ক্যাপশন- সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন মাঠেট বিভিন্ন অংশে ফেলে রাখা হয়েছে মাটি