বাকৃবির ঈশা খাঁ লেকে মৎস্য শিকার উৎসব

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২৮

বাকৃবি প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মোট ৪২ জন সৌখিন মৎস্য শিকারি। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেক (পুকুর নং-৩) 'ভ্রাতৃত্বের মোহনা' ঘাটের পাড়ে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম সরদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো: শহীদুল হক।

মৎস্য খামারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ আবু তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য খামার ইন-চার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল আলীমসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সৌখিন মৎস্য শিকারীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, "অনেকদিন পর এমন আনন্দঘন পরিবেশে মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতা সফলভাবে আয়োজন করায় আমি মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।"

তিনি আগামীতে প্রতিটি মৎস্য শিকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টোকেন গিফট হিসেবে অন্তত একটি করে ক্যাপ (টুপি) প্রদানের নির্দেশনা দেন। পাশাপাশি এ ধরনের আয়োজন আরও বড় পরিসরে ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ময়মনসিংহ শহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, "অনেক বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আয়োজন দেখে ভালো লাগলো। লেকের শান্ত পরিবেশে মাছ ধরার মজাই আলাদা। আয়োজনও ছিল দারুণ, কোথাও কোনো ঘাটতি ছিল না।"

অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার বলেন, "ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। লটারির মাধ্যমে স্থান নির্ধারণের পর সেরা তিনজন বিজয়ীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রায় ৯ কেজি ওজনের মাছ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে প্রায় ৮ ও ৭ কেজির মাছ তুলে দেওয়া হয়েছে।"