চা দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবি, ইবি ছাত্রদল নেতার

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৮

ইবি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চা দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। 

শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী দোকানদার আবদুল আহাদ। পরে বিকেল ৬ টার দিকে অভিযোগপত্র তুলে নেন তিনি।

অভিযুক্তরা হলেন– ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন।

এর আগে বিকেল ৪টায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, কিছুদিন আগে ছাত্রদলের উল্লাস আমাকে দোকান বন্ধ করার কথা জানায়। 

দোকান বন্ধ না করলে আজকে (৫ জুলাই) দুপুর একটার দিকে উল্লাস ও সাব্বির আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। যদি চাঁদা না দেই পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এমতাবস্থায় আমি ব্যবসায়িক কাজে অনিরাপদ বোধ করছি। এ সময় তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান।

দোকানদার আবদুল আহাদ বলেন, উনারা আমাকে একদিন ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেন। আমি ক্যাম্পাসে এসে দেখা করার পর তারা বলে, ‘তুমি কি দোকানদারি করবা নাকি ছেড়ে দিবা?’ আমি বললাম দোকানদারি করবো। 

সেদিন আর তেমন কিছু বলেনি। আজকে আবার ছাত্রদলের উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই আমাকে দোকানের বাইরে ডেকে নিয়ে বলে, ‘তোমাকে এর আগে একবার বলেছিলাম। আজকে আবার বলছি যে, কিছু টাকাপয়সা দেও। দেও বলতে বড় ভাই আসবেন, তারে দিবা। আমি বলে দিবো। 

তোমার কোনো সমস্যা হইলে আমরা দেখবো।  শনিবার, বুধবারের মধ্যে টাকা দিবা। বড় ভাই আসবেন, তুমি খুশি হয়ে কিছু দিবা।’

এই বিষয়ে সাব্বির হোসেন বলেন, এটা মিথ্যা এবং ফালতু কথা। অন্যদিকে উল্লাস মাহমুদ বলেন, আমার নামে চাঁদা দাবির যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে তো কিছুই জানি না। মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। এমনকি অভিযোগকারীকেও আমি ভালোভাবে চিনি না।

ভুক্তভোগী দোকানদার আহাদ বলেন, আমি অভিযোগ দেওয়ার পর ওরা দুইজন আমার কাছে এসেছিল। আমার কাছে মাফ চেয়ে গেছে। বলেছে, ‘যা হওয়ার হয়ে গেছে অভিযোগটা তুলে নাও।’ তাই আমি অভিযোগ তুলে নিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, দোকানদার আহাদ অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। সে বলেছে, একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনো রকম চাপ ছাড়াই অভিযোগ তুলে নিচ্ছি। এরকম একটা লিখিত দিয়েছে।

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, আমি উভয়ের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে এসব কিছুই জানে না। তবে আমি স্পষ্ট বলছি, ছাত্রদল করে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমন করে থাকে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবো।

তিনি আরও বলেন, আমি একটা মাধ্যমে শুনলাম সে (আহাদ) অভিযোগ তুলে নিয়েছে। তাকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি। সে স্বেচ্ছায় অভিযোগ তুলেছে।