বেঁচে থাকতে একাধিকবার নিজের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। সেসব খবর শুনে হয়তো মন খারাপ করেছেন। অভিমান জমে ছিল হয়তো মনের এককোণে। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বরেণ্য এই অভিনেতা যেটা বলেছিলেন, সেটা ব্যাখ্যা করলে ভাষ্যটা এমন হবে, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে মেরে ফেলেছ, অন্তত ২০ বার তো হবেই; তাতে আমার ক্ষতি নেই। তবে যেদিন সত্যি সত্যি চলে যাব, সেদিন আর আটকিয়ে রাখতে পারবে না। পারলে সেদিন বেঁচে থাকার গুজবটা ছড়িয়ে দিও।’
শনিবার সকাল ৯টার দিকে সত্যিই আটকে রাখা গেল না এ টি এম শামসুজ্জামানকে। প্রতিবারের মতো এবার আর গুজব বলেও উড়িয়ে দেওয়া গেল না তার মৃত্যুর খবর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিনেতার ছোট ভাই সালেহ জামান সেলিম সকাল ৯টা ৩৮ মিনিটে নিশ্চিত করে জানালেন, তার বড় ভাই মারা গেছেন।
এরপর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী তার মরদেহ নেওয়া হয় নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মাজারে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বরেণ্য অভিনেতার মরদেহ রাখা হয়। সেখানে উপস্থিত হন বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই। শেষবার বিদায় জানিয়ে যান এ টি এম শামসুজ্জামানকে। যদিও সিনেমার আঁতুড়ঘর বিএফডিসিতে তার মরদেহ নেওয়া হয়নি।
বাদ আসর সূত্রাপুর জামে মসজিদে এ টি এম শামসুজ্জামানের দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয় এই অভিনেতাকে।
যাযাদি/ এস
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd