চার বছরের ব্যবধানে কোটিপতি হিরো আলম

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:১১ | আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:০১

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম চার বছরের ব্যবধানে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। আগে সম্পদ বলতে তেমন কিছু না থাকলেও এখন তিনি কোটিপতি। তার রয়েছে প্রাইভেট কার, ব্যাংকে ৫৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। রয়েছে কৃষিজমি। স্ত্রীর নামে আছে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীর হলফনামায় হিরো আলম এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।

হলফনামায় হিরো আলম বলেছেন, তিনি স্বশিক্ষিত। তার পেশা ব্যবসা। এখন তিনি ৯ শতক জায়গা কিনে বাড়ি বানিয়েছেন। ব্যাংকে জমা আছে ৩০ হাজার টাকা। কিনেছেন কৃষিজমিও। এখন তার কৃষিজমির পরিমাণ ৫০ শতাংশ। স্ত্রীর ১ ভরি স্বর্ণালংকার বেড়ে হয়েছে ১০ ভরি। আছে ৫৫ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র।

আগে সম্পদ বলতে কিছু ছিল না হিরো আলমের। তখন ব্যাংক হিসাবে এক হাজার টাকা ছিল। আর ছিল ২১ শতাংশ কৃষিজমি, ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুরোনো মোটরসাইকেল, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিকস পণ্য এবং স্ত্রীর এক ভরি স্বর্ণালংকার। আয় বলতে ছিল কৃষি খাত থেকে আসা ৬ হাজার টাকা এবং অভিনয় থেকে আসা ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা। নিজের বাড়ি ও গাড়ি ছিল না। চার বছরের ব্যবধানে হিরো আলম কোটিপতি হয়েছেন।

হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন।

আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আমার কোনো কালো টাকা নেই। স্টেজ শো করে উপার্জন করি। চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও অভিনয় করি। নাটক, চলচ্চিত্র ও মিউজিক ভিডিও নির্মাণের ব্যবসা করি। ইউটিউব থেকে আয় করি। এসব আয় থেকেই সৎভাবে জীবনযাপন করছি। একটু একটু করে সঞ্চয় জমিয়ে কিছু করার চেষ্টা করছি। হলফনামায় সম্পদের যে তথ্য দিয়েছি, সবই সৎভাবে উপার্জিত। কোনো অসৎ রোজগারের অর্থ আমার নেই।

রোববার দুপুরে বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল থাকার কথা জানিয়ে রোববার হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। তবে হিরো আলম জানিয়েছেন, তিনি মনোনয়নপত্র বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

যাযাদি/এস