স্বামীকে বাসায় নিয়ে গেলেন মাহী

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৪:৪৬ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩, ২৩:৩২

গাজীপুর প্রতিনিধি
ছবি-যাযাদি

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহির স্বামী ব্যাবসায়ী রকিব সরকার দুই মামলা মাথায় নিয়ে পবিত্র ওমরা পালন শেষে রোববার সকালে দেশে ফিরেছেন। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধর থেকে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরে গেছেন। বিমান বন্দরে নামার পর পুলিশ তাকে কোন হয়রানি করেনি বলে জানা গেছে।

সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানে করে এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রাঃ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। পরে সেখান থেকে তিনি নির্বিঘেœ ঢাকার উত্তরায় তার বাসায় চলে যান বলেন মাহির স্বামী রাকিব। 

রকিব সরকার বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই মিথ্যা মামলাগুলো আইনীভাবেই মোকাবেলা করবো। অবশ্যই সত্যের জয় হবে। আমি কোন অপরাধ করিনি। আদালত যে রায় দেয় আমি তা মাথা পেতে নেব। 

এরআগের দিন শনিবার সকালে ওমরা পালন শেষে ঢাকায় আসেন তার স্ত্রী মাহিয়া মাহি। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বাসন থানায় নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে মেট্রোপলিটর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (সি/ডাবিøও) মূলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বেলা পৌনে দুইটার দিকে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে নেয়া হয়। 

দ্রুততার সঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর কারণে আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করার সময় পাননি। পরে কারাগারে থাকা অবস্থায় বিকাল পৌণে ৫টার দিকে মাহিয়া মাহির আইনজীবীরা একই আদালতে তার জামিন আবেদন করলে আদালত মাহিয়া মাহিকে জামিন প্রদান করেন। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।

কারামুক্ত হয়ে তিনি গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় তাদের ফারিশতা রেষ্টুরেন্টের সামনে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। সেখানে তিনি বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করেনি। তিনি এক গ্লাস পানি চাইলেও পুলিশ তাকে এক ঘন্টা পর পানি দেয়। তিনি পুলিশকে বলেছেন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা  এবং অসুস্থ্য প্রচন্ড গরমে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তারপরও তার প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়। তখন পুলিশ তাকে বলছিল এভাবেই যেতে হবে। বিমান বন্দরে কারো সাথে কথা পর্যন্ত বলতে দেয়া হয়নি। 

তিনি আরো বলেন, ফেসবুক লাইভে তিনি পুলিশ প্রশাসন নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। তিনি কেবল একজন ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ তার সঙ্গে যে আচরণ করেছে তার স্বামী দেশে আসলে তার সঙ্গে আরো বেশী খারাপ আচরণ ও হয়রাণী করা হতে পারে। ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলার কারণে তিনি ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। 

সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তিনি এসব ঘটনার বিচার দাবি করেন। তিনি দাবি করেন অন্যায়ভাবে তাদের গাড়ির শোরুমে হামলা ও ভাংচুর করা হলো অথচ পুলিশ উল্টো আমাদের এবং আমাদের কর্মচারিদের নামে মামলা দিয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। যতক্ষণ তিনি কারাগারে ছিলেন কারাকর্তৃপক্ষ তাকে অনেক সম্মান দেখিয়ে মানবিক আচরণ করেছেন বলেও জানান। এজন্য তিনি কারা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

শুক্রবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাসন থানার এসআই মোহাম্মদ রুকন মিয়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন ওরফে লাদেন বাদি হয়ে চাঁদা দাবি, মারধর ও ভাংচুরে হুকুমের আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।  

যাযাদি/ এস