তিন বিয়ের একটিও টিকেনি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২৩, ১২:২২

বিনোদন ডেস্ক

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পারিবারিক নাম অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভইট। একাধারে একজন মার্কিন অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মানবহিতৈষী। তিনি তিনবার গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, দুইবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার এবং একবার একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। আজ এই মার্কিন অভিনেত্রী পা রাখছেন ঊনপঞ্চাশতম বছরে। 

১৯৭৫ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলসে জন্মগ্রহণ করেন জোলি। চলচ্চিত্র জগতের বাইরে ২০০১ সালে তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছেন। বিশ্বব্যাপী মানবতার প্রচার এবং বিশেষ করে শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করার জন্য জোলি বিশেষভাবে সমাদৃত। একাধিকবার তিনি ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’ নির্বাচিত হয়েছেন। রুপালি পর্দার অন্তরালে তার ব্যক্তিগত জীবন সব সময়ইই গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার লাভ করেছে। ১৯৮২ সালে ‘লুকিন’ টু গেট আউট’ চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সঙ্গে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব ঘটে।

তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের সিনেমা ‘সাইবর্গ ২’ (১৯৯৩)-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের সিনেমা ‘হ্যাকারস’ (১৯৯৫)। 

এ সিনেমায় তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। পরে তাকে ‘জর্জ ওয়ালেস’ (১৯৯৭) ও ‘জিয়া’ (১৯৯৮)-এর মতো সমালোচক-নন্দিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। ‘নাট্য চলচ্চিত্র গার্ল’, ‘ইন্টারাপ্টেড’ (১৯৯৯)-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ভিডিও গেম নায়িকা লারা ক্রফ্ট চরিত্র নিয়ে ‘লারা ক্রফ্ট: টুম্ব রেইডার’ (২০০১) চলচ্চিত্রে অভিনয় তার তারকাখ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেয়। 

মূলত এরপর থেকেই জোলি হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। তার চলচ্চিত্র জীবনের সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক সাফল্য যে দুটি চলচ্চিত্র থেকে এসেছে সেগুলো হলো অ্যাকশন কমেডিধর্মী ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ (২০০৫) এবং অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘কুং ফু পান্ডা’ (২০০৮)।

ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিনবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্র্যাড পিটের সঙ্গে। পরে সবার সঙ্গেই তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।