তানিয়া বৃষ্টির স্বপ্ন বাস্তবে

একটু একটু করে নিজেকে তৈরি করেছেন সময়ের ব্যস্ত টিভি অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। এই মডেল অভিনেত্রী জানান, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে অভিনয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পেরেছেন তিনি। জীবনের এই প্রান্তে এসে পৌঁছাতে একটা যুদ্ধের মধ্য দিয়েই অতিবাহিত করতে হয়েছে তাকে। 

একজন সত্যিকারের অভিনেত্রী হওয়ারই স্বপ্ন ছিল তার। দেরিতে হলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন দর্শকের চাহিদার কারণে নির্মাতারাও প্রবল আগ্রহ দেখাচ্ছেন তাকে নিয়ে নাটক-টেলিফিল্ম নির্মাণের। বিষয়টি বেশ উপভোগ করছেন তানিয়া বৃষ্টি। 

গত রোজা ও কোরবানি ঈদে বেশিরভাগ দর্শকের নজর ছিল তানিয়ার অভিনীত নাটক-টেলিফিল্মের দিকে। ঈদুল ফিতরে সাগর জাহানের ‘ছোবল’, মাবরুর রশীদ বান্নাহ’র ‘কবিতার চার লাইন’ ও এমএনইউ রাজু’র ‘আইসিইউ’ নাটকে তানিয়া বৃষ্টি যেমন দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন, ঠিক তেমনি ঈদুল আজহাতে সকাল আহমেদ’র ‘আড়াই তালাক’, ‘সব দোষ হোসেন আলীর’ ও জাকিউল ইসলাম রিপনের ‘জায়গায় খায় জায়গায় ব্রেক’ নাটকে অনবদ্য অভিনয় করে অভিনেত্রীদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে চলে আসেন তিনি। ছয়টি নাটক দিয়েই তানিয়া বৃষ্টি চলে এসেছেন আলোচনার তুঙ্গে। প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন চাহিদার শীর্ষে থাকা জাত অভিনেত্রী। 

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী, পিনিকেই ঝিনিক নাটকটি প্রচার হওয়ার পর থেকেই যেন প্রযোজক-পরিচালকদের আমার প্রতি আস্থা বেড়েছে। তারা বিশ^াস করতে শুরু করলেন যে আমাকে দিয়ে যে কোনো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করানো সম্ভব। আমিও গল্পের প্রতি, চরিত্রের প্রতি আরও একটু মনোযোগী হয়ে উঠি। যার ফলে রোজার ঈদে তিনটি ভালো কাজ প্রচারে আসে, আমি দারুণ সাড়া পাই। আর কোরবানির ঈদেও আরও তিনটি কাজ যেন দর্শকের ভালোবাসায়, কাছের মানুষদের প্রশংসায় মন ভরিয়ে দেয়। আবেগে কেঁদেছি আমি আসলে, এমন একটা সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম আমি, যখন আমার অভিনীত প্রতিটি নাটক নিয়ে সবাই আলোচনা করবেন। আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে, আমার পরিবারের কাছে, আমার প্রতিটি নাটকের প্রযোজক পরিচালকের কাছে। 

কৃতজ্ঞ মোশাররফ করিম ভাই’সহ অন্যান্য সহশিল্পী’সহ সাংবাদিক ভাই-বোনদের কাছে আমাকে সব সময়ই অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য। কৃতজ্ঞ ইবনে হাসান খান ভাই, চ্যানেল আই পরিবারের কাছে।’ 

যাযাদি/ এস