নাটকে গল্প ও পরিচালককে বেশি গুরুত্ব দিই : তানিয়া বৃষ্টি

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩

মাতিয়ার রাফায়েল

তানিয়া বৃষ্টি- ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ দ্বিতীয় রানারআপের পুরস্কার অর্জন করে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর থেকে তিনি মডেলিং ও বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ শুরু করেন। এরপর আসেন ছোটপর্দায়। ২০১৫ সালে ‘ঘাসফুল’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক হয়। তবে পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হননি।

নতুন ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে এখন?
আপাতত সিঙ্গেল নাটক নিয়েই ব্যস্ত আছি। এই মহূর্তে আমার হাতে কয়েকটি নাটকের কাজ আছে। এর মধ্যে যেমন কোনো কোনোটির শুটিং শেষ হয়ে গেছে আবার কোনোটার শুটিং চলমান আছে। তবে এই মুহূর্তে নাটকগুলোর নাম আমি ভুলে গেছি। পরে আপনাকে নামগুলো জানিয়ে দেব।   

ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন না কেন?
কারণ, ধারাবাহিক নাটকে যেভাবে লেগে থাকতে হয় সেটা আমাকে দিয়ে সম্ভব হবে না। তাছাড়া ধারাবাহিকে অভিনয় করব এমন কোনো চিত্তাকর্ষক চরিত্রও পাইনি আসলে। তাছাড়া এখন যেসব ধারাবাহিক নাটক হচ্ছে প্রায় সবই তো ছকে বাঁধা। স্বতন্ত্র কিছু আছে বলে মনে হয় না। সেদিক থেকে এখনকার একক নাটকগুলোই ভালো হচ্ছে। এতে নিজেকে মেলে ধরারও অনেক সুযোগ আছে।  

নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেন?
প্রথমত গল্পটি পছন্দ হতে হবে, বিশেষ করে আমি যে চরিত্রটিতে অভিনয় করব সেটা চরিত্রটি অবশ্যই। এরপর দেখি পরিচালক কেমন। কারণ দেখা যায় অনেক সময় গল্প ভালো হলেও পরিচালক গুণী না হলে নির্মাণটা ভালো হয় না। তখন আমরা যতই শ্রম দিই না কেন, কাজটা কাক্সিক্ষত জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। এরপর দেখি কারা আমার কো-আর্টিস্ট। নাটকে কাজ করতে গিয়ে আমি এই তিনটি বিষয়ের প্রতিই বেশি জোর দিয়ে থাকি। 

এখন তো সিনেমার পরিবেশ ভালো হচ্ছে- এ নিয়ে ভাবছেন কিছু?
এখন আমি ঐ দিকটায় আর যেতে চাচ্ছি না। আমি এখন নাটকের মধ্যেই নিজের ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে চাই। সেজন্য আমি এখন নাটকেই মনোযোগ দিচ্ছি বেশি। কারণ, এতদিনে আমার বোঝা হয়ে গেছে সিনেমা দিয়ে আমাকে হবে না। যদিও আমার বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু আমি ভেবে দেখলাম এর জন্য আমাকে যে মূল্য দিতে হবে সেটা আমাকে দিয়ে সম্ভব হবে না। সিনেমার জন্য আমি এমন মূল্য দিতে চাই না যেটা নাটকে দিতে হয় না।

সেক্ষেত্রে নাটকের পরিবেশ কেমন?
নাটকের পরিবেশ সিনেমার পরিবেশের মতো নয়। এখানে আমরা সবাই একই ফ্যামিলির সদস্য। সবাই সবাইকে খুব সহজে নিজের করে নিতে পারে। আপন করে নিতে পারে। পরিচালক থেকে শুরু করে কলাকুশলী সবাই। সিনেমায় যতটা ভালগারিজম থাকে সেটা নাটকে থাকে না। অন্তত আমার চোখে এ পর্যন্ত এমন কিছু ঘটেনি।

১০ বছরের ক্যারিয়ারে কতটুকু অর্জন করলেন নাটকে?
আলহামদুলিল্লাহ ভালো। কারণ, আমি আমার ক্যারিয়ারে যেমনটা প্রত্যাশা করছিলাম সেই লক্ষ্যটি আমি পূরণ করতে পেরেছি। নিজের চাহিদা মতো যে অভিনয়টা করতে পারছি, এটাই আমার বড় অর্জন। তবে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে আমি যতটুকু উচ্চতায় দেখতে চাই, এখনো সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। এতটুকু অপ্রাপ্তি না থাকলে তো আমার অভিনয়ই করা হবে না। 

এবারের ঈদটা তো আপনার জন্য বিশেষ কিছু ছিল- কী বলেন?
ঠিক তাই। আমি খুবই খুশি যে, এবারের দুটো ঈদেই আমার নাটক ভালো সাড়া পেয়েছে। এজন্য আমি আবেগে কেঁদেছিও। আসলে আমি এমন একটা সময়ের অপেক্ষাতেই ছিলাম। এমনই একটা অপেক্ষায় ছিলাম যাতে আমার অভিনীত প্রতিটি নাটক নিয়ে সবাই আলোচনা করেন। এজন্য আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের কাছে, আমার পরিবারের কাছে, আমার প্রতিটি নাটকের প্রযোজক, পরিচালকের কাছে। আর যারা আমাকে সব সময়ই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাদের কাছে। 

যাযাদি/ এস