অভিনয় নয়, শিল্পা কোটিপতি হয়েছেন অন্য কাজ করে

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২৫ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২৬

যাযাদি ডেস্ক
ফাইল ছবি

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ভারতের সর্বোচ্চ আয়করদাতাদের তালিকায় থাকেন। 

কিন্তু অভিনয়ই তার একমাত্র আয়ের উৎস নয়। প্রায় সবাই কোনো না কোনো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। ছবি প্রযোজনা ছাড়াও কেউ খোলেন রেস্তোরাঁ, আবার কেউ পোশাক কিংবা প্রসাধনী সংস্থা। 

একেকজন তারকার একেক রকম ব্যবসা। এবার শিল্পা শেঠি জানালেন কোন অদ্ভুত উপায়ে বড়লোক হয়েছেন তিনি সে কথা। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি খোলাসা করেছেন তার এই বিশেষ উদ্যোগের কথা।

প্রায় আট বছর আগের কথা। শিল্পাকে ডাকা হয়েছিল একটি প্রসাধনী সংস্থার বিপণন-মুখ হিসাবে কাজ করার জন্য। 

কিন্তু এমনই দুর্ভাগ্য, অভিনেত্রীর পারিশ্রমিকটুকু দেওয়ার মতো ক্ষমতাও ছিল না ওই ত্বক পরিচর্যা পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থার। মূলত শিশুর জন্যই নানা পণ্য তৈরি করত মাত্র ৩৫ কোটির সংস্থাটি।

শিল্পা বলেন, ওরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমার ভালো লেগেছিল। কিন্তু একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করার মতো সামর্থ্য ওই সংস্থার ছিল না। তখন আমিই ওদের প্রস্তাব দিই অংশীদার হওয়ার। 

অভিনেত্রী বলেন, বিনিয়োগ করেই তিনি বিত্তবান হয়ে উঠেছেন। গত আট বছরে ওই সংস্থা ‘ইউনিকর্ন’ (১০০ কোটি মূল্য) হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালে আইপিও-তে নাম তোলে ওই সংস্থা। তাদের তরফে জানানো হয়, ২০১৮ সালে শিল্পা মাত্র ৬.৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ঘরে তুলেছিলেন ১৬ লাখ শেয়ার।

২০২৩ সালে শিল্পার সেই বিনিয়োগ মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৩৯ কোটি টাকায়। সে বছর শিল্পা ওই সংস্থার ১৩.৯৩ লাখ শেয়ার বিক্রি করে দেন। তাতে তার লাভ হয় প্রায় ৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। 

একটি সূত্র জানায়, ২০২৫ সালের ১৭ এপ্রিল ওই সংস্থাটির শেয়ারের বাজারমূল্য ২৩৬ টাকা। 

এখনো শিল্পা ওই সংস্থার ২.৩ লাখ শেয়ারের মালিক। সেই হিসাবে ওই সংস্থায় অভিনেত্রীর বিনিয়োগ মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৪২ লাখ কোটি টাকা।


শিল্পা বলেন, এমন কোনো সংস্থার বিপণন মুখ হতে চান না, যা তার ভাবনাচিন্তার বিপক্ষে যায়। 

যেমন কোনো মিষ্টি পানীয় কিংবা পানমশলার বিজ্ঞাপন তিনি কোনো দিন করবেন না।

তিনি বলেন, এ ধরনের সংস্থাগুলো এত টাকার প্রলোভন দেখায় যে, কখনো মনে হয়, সত্যিই এত টাকা ছাড়া যায় না। কিন্তু কোনোভাবেই নিজের সততার সঙ্গে আপস করা যায় না। 

আমি সবসময় নিজের মূল্যবোধটুকু আঁকড়ে রাখতে চাই।

যাযাদি/এস