স্ত্রীরা চলে যাওয়ায় শাকিব, শুভ, রাজ এখন ‘ব্যাচেলর’

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২৫, ১০:১৩ | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:১৪

যাযাদি ডেস্ক
শাকিব, শুভ ও রাজ। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

বিয়ে করেছেন, সংসারও পেতেছিলেন। কেউ গোপনে, কেউ প্রকাশ্যে। কেউ সন্তানের বাবা হয়েছেন, কেউ ছিলেন প্রেমে ভীষণ রোমান্টিক। তবু শেষরক্ষা হয়নি—ভেঙে গেছে সম্পর্ক, থেমে গেছে সংসার।

তবে বিচ্ছেদের পর প্রেম বা নতুন সম্পর্কে না জড়িয়ে নিজেদের ‘ব্যাচেলর’ই রেখে দিয়েছেন ঢালিউডের তিন জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান, আরিফিন শুভ আর শরিফুল রাজ। 

ভক্তদের কৌতূহল যেমন বেড়েছে, তেমনি এই তিনজনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তও হয়ে উঠেছে আলোচনার বিষয়।

চলুন জেনে নিই, কীভাবে একসময় ভালোবাসার মানুষদের হারিয়ে এখনো সিঙ্গেল জীবন কাটাচ্ছেন এই তিন তারকা—

শাকিব খান

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক প্রেম করলেন, গোপনে বিয়েও করলেন অপু বিশ্বাসকে। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হলেও সেটা সামনে আসে ২০১৭ সালে, অপু যখন সন্তান কোলে নিয়ে টিভি লাইভে হাজির হন। 

সন্তান আব্রাম খান জয় জন্ম নেওয়ার পর শুরু হয় টানাপোড়েন, আর তাতেই ভাঙে সংসার।

এরপর শাকিবের জীবনে এলেন শবনম বুবলী। গোপনে বিয়ে, আবারও সন্তানের আগমন; শেহজাদ খান বীর। 

কিন্তু এই দ্বিতীয় সংসারও বেশিদিন টেকেনি। এক সাক্ষাৎকারে শাকিব স্পষ্ট বলেছিলেন, অপু-বুবলী, দুজনেই আমার অতীত। 

তাই এখন তিনি পুরোপুরি সিঙ্গেল, প্রেম বা বিয়ের প্রসঙ্গেই যেতে নারাজ। তবে প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর আসে, পরিবার থেকে শাকিব খানের জন্য পাত্রী দেখা হচ্ছে। যদিও সেই পাত্রী দেখা শেষ হচ্ছে না গেল কয়েকবছরে। 

আরিফিন শুভ 

ঢাকার নায়ক, কিন্তু প্রেম ছিল ওপার বাংলায়। ২০১৫ সালে শুভ বিয়ে করেন কলকাতার ফ্যাশন ডিজাইনার অর্পিতাকে। চুপিচুপি নয় বরং খোলাখুলি। 

দীর্ঘ সাড়ে ৯ বছরের সংসারেও ছন্দ হারায় ২০২৩ সালে। গত বছরের ২০ জুলাই শুভ নিজেই জানান, তাদের বিচ্ছেদ হয়েছে।

তবে এরপর আর নতুন কোনো প্রেম কিংবা বিয়ের খবরে পাওয়া যায়নি শুভকে। নিজের কাজ, ফিটনেস আর ক্যারিয়ারেই যেন মন দিয়েছেন তিনি।

মিডিয়াতে কথা বলেন নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে, সে কারণে জানা দায় নতুন করে কবে ঘর বাঁধছেন ঢাকার এই নায়ক 

শরিফুল রাজ

সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তা, তারপর পরীমনির সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে—সবই যেন ছিল রূপকথার মতো। ২০২১ সালে বিয়ে, ২০২২ সালে সন্তানের আগমন। 

তাদের পুত্র শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যকে ঘিরে ভালোবাসার সংসার দেখে অনেকেই ভাবতেন—এটাই টিকবে। 

কিন্তু না, মনের অমিল আর দুরত্বে ভেঙে যায় সেই সংসারও। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঘটে বিচ্ছেদ। এরপর রাজও আর কাউকে মন দেননি, আপাতত তিনিও সিঙ্গেল।

তিনজন তিন রকম মানুষ, তিন রকম গল্প। কিন্তু পরিণতি এক বিচ্ছেদের পর আর কোনো সম্পর্কে যাননি। ভক্তরা অবশ্য অপেক্ষায় আছেন—এই ব্যাচেলররা আবার কবে ‘কমিটেড’ হবেন। 

ততদিন তারা আছেন আলোচনায়, সিনেমায়, আর একা একা ভালো থাকার চেষ্টায়।