ঝিনাইগাতীতে গারো পাহাড়ে মৌমাছির নিরাপদ বাসা

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৩৯

গোলাম রব্বানী-টিটু, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা

 

 

 

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে শীতকালিন এ সময়ে মৌমাছির অভয়াশ্রম হয়েছে । গজনি অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রের পুরাতন ২০০ বছরের বয়স্ক একটি বট বৃক্ষে ৭৩টি মৌচাকের বাসাবেধেছে । করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকদের আগমন  হ্রাস পাওয়ার ফলে মৌচাক দেখার দর্শনার্থীদের ভির দেখা যায়নি,তবে মৌচাক দেখতে স্থানীয় দর্শনার্থীদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে ।

 

গাছটিতে এর আগেও মৌচাকের বাসা বেধেছিল । এবার গাছের ডালপালায় মৌচাকেরবাসা বেধে এক সৌন্দর্য দৃশ্য ফুটে তুলেছে মৌমাছির দল । এ ছাড়াও উপজেলার সন্ধ্যাকুড়া মহারশি নদির সেতুটির নিচে শতাধিক মৌচাক বসেছে ।

 

তা দেখার জন্যে পথচারীরা ভির করছে । অপর দিকে পাহাড়ে খালি জায়গায় মধু আহরণের জন্যে বাণিজ্যিকভাবে অনেকেই মৌমাছি লালন করে মধু সংগ্রহের কাজ করছেন । ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পর্যটকরা জানায় গজনি দেখতে এসে অনেকগুলো মৌমাছির চাক এক গাছে  দেখতে পেয়ে তারা বেজায় খুশি । এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেজ্ঞের বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিছুর রহমান জানায় পাহাড়ে এ সময়ে মৌমাছির আগমনের ফলে তাদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে । আমরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে তাদের দেখাশুনা করে আসছি যেন তাদের কেহ ক্ষতি করতে না পারে ।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ জানান, গারো পাহাড়ে মৌমাছিরা দল বেধে চাকবেধেছে ফলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখা যাচ্ছে । এ থেকে বিনা অনুমতিতে যেন কেহ মধু সংগ্রহ করতে না পারে তাতে আমাদের নজরদারী রয়েছে ।